সরকার দেশকে দেউলিয়া বানিয়েছে: জামায়াত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৩ অপরাহ্ন, ২১শে জানুয়ারী ২০২৪
কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি, বর্তমান অর্থনৈতিক ও গ্যাস সংকট নিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সদস্য মুজিবুল আলম সই করা বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, “সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য গোটা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেশকে দেউলিয়া বানিয়েছে। এ অবস্থার একমাত্র সমাধান হলো অবিলম্বে ডামি জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকার পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া বর্তমান সর্বগ্রাসী সংকট থেকে দেশকে উদ্ধারের আর কোনো পথ নেই।”
বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা দেশের গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট, শিল্পকারখানায় উৎপাদন হ্রাস ও চরম অর্থনৈতিক সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি এখন হতাশার মধ্যে দিন যাপন করছে: হানিফ
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “সারাদেশে বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চলে তীব্র গ্যাস সংকটে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাসা-বাড়িতে গ্যাসের চুলা জ্বলছে না, কল-কারখানার চাকা ঘুরছে না। গ্যাস ও বিদ্যুতের অভাবে ৩টি ইউরিয়া সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এলএনজি সরবরাহ শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ কমে গেছে। রাজধানী ঢাকা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতেও গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। মহেশখালীর দুটি ভাসমান টার্মিনাল থেকে দৈনিক ৮৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে মাত্র ৩৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে। যা পূর্বের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। এ অবস্থায় শিল্প, কল-কারখানায় উৎপাদনের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেছে। এলএনজি টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে দেশে সাতশ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের আশু কোনো সম্ভাবনা নেই।”
বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে জামায়াত জানায়, “দেশের রাফতানি বাণিজ্য আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। ডলার সংকটের কারণে আমদানিও কমে গেছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।”
আরও পড়ুন: জরুরি সভা ডেকেছে আ.লীগ
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “সরকার তড়িঘড়ি করে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করলেও তাতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কার্যকর কোনো পরিবর্তন বা অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দেশের ১০-১৫টি ব্যাংক দুর্বল অবস্থায় পৌঁছে গেছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, দুর্বল ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারল্য সংকটের কারণে সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে দেশের ব্যাবসা, বাণিজ্য, শিল্পখাতসহ গোটা অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। গত দেড় বছরে ডলার কেনা বাবদ ব্যাংকগুলোর ২ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা চলে গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। দেশে বর্তমানে শুধু নাই নাই রব শোনা যাচ্ছে।”
জেবি/এসবি