শীতে গরম পানিতে গোসলের উপকারিতা ও অপকারিতা
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, ২২শে জানুয়ারী ২০২৪
সারাদেশেই শীতের তীব্রতা অনেকটাই বেড়েছে। সাথে কুয়াশার দাপটও বেড়েছে অনেকটাই। দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ পাঁচ থেকে সাতদিন ধরে সূর্যের দেখা পাননি। রাজধানীতে কিছুটা সময়ের জন্য রোদের দেখা মিললেও দিনের অধিকাংশ সময়ই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। মূলত, দমকা হাওয়া বা বৃষ্টি না হলে ঘন কুয়াশা কাটবে না। আর কুয়াশা না সরলে রোদ এসে শীতের তীব্রতা কমাতে পারবে না।
এমনতাবস্থায় শীতকালজুড়ে আর ঠান্ডাজনিত রোগ যাদের পিছু ছাড়ে না তাদের জন্য গোসল একটি বাড়তি বিড়ম্বনার বিষয়। শীতের এই সময় গোসলের কষ্ট থেকে বাঁচতে গরম পানিতে আস্থা প্রায় সবারই। তবে এতে যে শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে, তা হয়তো অনেকেই জানেন না।
চর্মবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গরম পানি দিয়ে গোসল করা শরীরের জন্য কখনই ভালো কিছু বয়ে আনে না। নিয়মিত কেউ গরম পানিতে গোসল কররে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুন: শীতে প্রতিদিন এক চামচ খাঁটি মধু!
তারা জানান, গরম পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। পানি কুসুম গরম না হয়ে একটু বেশি গরম হয়ে গেলে তা আরও বেশি বিপজ্জনক হয়। মাথায় অতিরিক্ত গরম পানির ব্যবহারের ফলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়াও মস্তিস্কের ওপরে বিশেষ চাপ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়।
তারা আরও জানান, অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করলে মুখে ব্রনের সৃষ্টি হতে পারে। যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তাদেরকে গরম পানি পরিহার করতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
হৃদরোগবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যারা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তাদের গরম পানি দিয়ে গোসল করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ গরম পানি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ওপর অনেক প্রভাব ফেলে। এমনকি গরম পানি দিয়ে গোসল করলে মানসিক বিষণ্নতায় ভোগা ব্যক্তিদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
আরও পড়ুন: শীতের সময় শিশুর ডায়রিয়া, জ্বর-ঠান্ডায় যা করণীয়
বিশেষজ্ঞরা এসব কারণেই মাথায় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে এবং গরম পানি দিয়ে গোসলের অভ্যাস না করতে পরামর্শ দিয়েছেন। তবে ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা কঠিন বিষয়। এ ক্ষেত্রে টনসিল, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গের সৃষ্টি হয়।
বিশেষজ্ঞরা সেজন্য অতিরিক্ত গরমও নয় আবার ঠান্ডাও নয় প্রত্যেককে কুসুম গরম পানিতে গোসল করার পরামর্শ দিয়েছেন। এর ফলে শরীরের রক্ত চলাচলের বৃদ্ধি ঘটে এবং অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হয়। শীতকালীন সর্দি-কাশি ও বিভিন্ন উপসর্গ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
এমএল/