কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে স্বস্থির রোদ, লেগেছে বোরো আবাদের ধুম


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, ২৯শে জানুয়ারী ২০২৪


কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে স্বস্থির রোদ, লেগেছে বোরো আবাদের ধুম
ছবি: জনবাণী

কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে যখন সবার নাকাল অবস্থা তখন এক ঝলক রোদ যেন সবার মধ্যে স্বস্থি ফিরে এনেছে । গত দুদিনে তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৫ এবং ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি মেলসিয়াস। 


সোমবার (২৯ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দমমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এরকম পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পরা মানুষ রোদের কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে এসেছে।


আরও পড়ুন: কৃষকের খামারে গিয়ে সাইলেজ তৈরি শিখাচ্ছে প্রকল্প কর্মকর্তা


জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, তাপমাত্রা নিম্নগামি হলেও পরিষ্কার আকাশ ও তপ্ত রোদের কারণে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বোরো আবাদের ধুম। এ মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্র ছিল ১লক্ষ ১৭ হাজার ২১৫ হেক্টর। এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজ রোপন করা হয়েছে। এছাড়াও ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। শীতের কারণে আলুর আকার ও ফলন ভালো হয়েছে।


এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে অবস্থান করায় গত ১০দিন ধরে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও দিনে রোদ থাকায় আজ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। এতে এক পক্ষ সরকারের নির্দেশনার বাইরে সিদ্ধান্ত নেয়ায় ক্ষুব্ধ হলেও অপর একটি পক্ষ বলছেন এরকম আবহাওয়ায় শিশুদের কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এছাড়াও কতদিন আর স্কুল বন্ধ রাখা যায়। 


এদিকে স্কুল খুলে দেয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যেও স্বস্থি ফিরে এসেছে। গত দশ দিন বাড়িতে অলস বসে থাকার পর স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের দেখা পেয়ে ভীষণ খুশি তারা।

কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাহা জানান, বাড়িতে খুব বোর লাগছিল। স্কুল খুলে দেয়ায় খুব ভালো লাগছে। সবাই নতুন ক্লাসে উঠেছে। এসময় ক্লাস হওয়া দরকার।


অভিভাবক লিলি জানান, বাসায় বাচ্চাদের কোন লেখাপড়া হচ্ছিল না। স্কুল খুলে দেয়ায় ভালো হয়েছে।


আরও পড়ুন: ২ কোটি ২৭ লাখ কৃষক পরিবার স্মার্ট কৃষি কার্ডের আওতায় আসবে


এদিকে অপর এক অভিভাকব নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কিভাবে নিয়ম ভাঙ্গেন। যেখানে সরকার ১০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা থাকলে স্কুল বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ জেলায় সর্বনিম্নতাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারা কিভাবে সরকারের আদেশ অমান্য করে।


এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম জানান, তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে গত ১০দিন সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। গত ২দিন ধরে দিনে সূর্যের আলো সকাল ৮টার পর থেকে দেখা দেওয়ায় এবং আবহাওয়া ভালো হওয়ায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে স্কুল খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরএক্স/