বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৪০০ চাকমা

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছে। 

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে মিয়ানমার বাহিনী আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান থেকে বোমা হামলা চালাচ্ছে। আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে ইতোমধ্যে ৯৮ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন।

মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারী ৪০০ চাকমা খাদ্য অভাব এবং ঝুঁকির কারণে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: মিয়ানমারের ৯৫ সীমান্তরক্ষী আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে

কক্সবাজারের শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানান, “মিয়ানমারে দেশটির সরকারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে মিয়ানমার সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে এবং তাঁদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই অবস্থায় তাঁরা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে।”

আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া মর্টার সেলের আঘাতে ঘুমধুম সীমান্তে নারীসহ নিহত ২

এদিকে, সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমার থেকে কোনঘ রোহিঙ্গা অথবা অন্য কোনো সম্প্রদায়ের লোকজন যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। 

জেবি/এসবি