মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশকে যা বলল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৩১ অপরাহ্ন, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪


মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশকে যা বলল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ছবি: ‍সংগৃহীত

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে  থাকবে বলে  প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক চিঠিতে এ কথা জানিয়েছে।  এ বিষয়ে প্রশ্ন করার প্রায় এক সপ্তাহ পর উত্তর দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। 


মঙ্গলবার (৬  ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।


বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানানো হয়, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয়দানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আগের মতো এবারও সহায়তা করবে তারা।


এর গেল ১ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত এবং বাংলাদেশে কয়েক লাখ রোহিঙ্গার আশ্রয়ের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্নের প্রায় এক সপ্তাহ পর এ বিষয়ে লিখিত জবাব দিলেন ম্যাথিউ মিলার।


আরও পড়ুন: সীমান্ত পরিদর্শনে যাচ্ছেন বিজিবিপ্রধান


মিলার বলেন, “মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে মানবিক সংকটের পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে বলেও মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।” বেসামরিক নাগরিকদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় দেশটি।”



আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যে যে নির্দেশনা দিল ডিএমপি


ইতোমধ্যে মিয়ানমারের জান্তা ও  দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাতের আঁচ এসে পড়েছে বাংলাদেশে। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলায় মারা যান এক বাংলাদেশি নাগরিক। সংঘর্ষ আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলাবারুদের শব্দে আতঙ্কে দিন কাটছে মিয়ানমার সীমান্তে থাকা জনপদগুলো। আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের ২ শতাধিক সদস্য।


এর আগে আরাকান আর্মির মতো রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের অ্যালায়েন্স সংগঠন আরসাও ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমার সেনা চৌকিতে অতর্কিত হামলার পর মাত্র একদিনেই পরাজয় স্বীকার করে নেয় আরসা। আর তার ফল হিসাবে ৮ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে চলে আসতে বাধ্য হয়।


জেবি/এসবি