আমের মুকুল রক্ষায় যা করতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সারাদেশে আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। তবে বিভিন্ন কারণে সেসব মুকুল ঝরেও যায়। এতে ক্ষতি হয় আম চাষিদের। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আম বাগান। সঠিক সময়েরোগ ও পোকা-মাকড় দমনে ব্যর্থ হলে ফলন কমে যেতে পারে। আমের মুকুল ঝরা রোগে রয়েছে কিছু করণীয়।
ফুল আসার আগে:
আম গাছে ফুল আসার ১৫ দিন আগে পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। ২-৩ বছর বয়সের গাছে টিএসপি ও এমপি সার ২০০-৫০০ গ্রাম দিতে হবে। ৪-৫ বছর বয়সের গাছে ৩০০-৩৫০ গ্রাম। ৬-৭ বছর বয়সের গাছে ৪০০-৫০০ গ্রাম। ৮-৯ বছর বয়সের গাছে ৫০০-৮০০ গ্রাম। ১০ বছরের ঊর্ধ্বে ৮৫০ থেকে ১২০০ গ্রাম প্রতি গাছে প্রয়োগ করতে হবে।
এছাড়াও ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহওয়া বিরাজ করলে মুকুল বের হওয়ার ১৫-২০ দিন আগে সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কিটনাশক ১মিলি এবং সালফার ঘটিত ছত্রাকনাশক ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। এই স্প্রেরের ফলে হপার পোকা এবং সুটি মোল্ডা ছত্রাকের আক্রমণ কমে। খেয়াল রাখতে হবে ফুল অবস্থায় কোন প্রকার স্প্রে করা যাবেনা।
প্রথম স্প্রে:
আম গাছে মুকুলে ফুল ফোটার পূর্বে গাছে যখন মুকুল ৪-৬ ইঞ্চি হয়, তখন ১ লিটার পানিতে ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক তরল ০.৫ মিলি এবং ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক ২ গ্রাম মিশিয়ে সমস্ত গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
দ্বিতীয় স্প্রে:
আম গাছের মুকুলে আম মটর দানা আকার ধারণ করার পর ১ লিটার পানিতে ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক তরল ০.৫ মিলি এবং কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক ২ গ্রাম মিশিয়ে সমস্ত গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ি মুকুল আসার ২-৩ মাস আগে পানি সেচ বন্ধ করা ভালো। এছাড়াও সময় মত আগাছা পরিস্কার , মরা ডালপালা কর্তন করতে হবে। ধ্যারা বা অন্য কোন পরগাছা থাকলে তা দুর করার ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে কৃষি বিভাগের কল সেন্টার ১৬১২৩ নম্বরে কল করে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত) সরাসরি কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক তথ্য জানতে পারবেন।
জেবি/এসবি