শ্রীনগরে ফুলকপি চাষে স্বাবলম্বী কৃষক


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:২৪ অপরাহ্ন, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪


শ্রীনগরে ফুলকপি চাষে স্বাবলম্বী কৃষক
ছবি: জনবাণী

শ্রীনগরে ফুলকপি চাষে স্থানীয়দের আগ্রহ বাড়ছে। বির্স্তীণ আড়িয়ল বিলের ভিটায় ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আগাম ফুলকপি চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এর মধ্যে উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাজী রফিকুল ইসলাম (৬৫) প্রায় ৪ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। 


শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ সড়কের পাশে পুর্ব পাটাভোগ চকে ফুলকপিসহ মৌসুমী শাক-সবজির আবাদ করছেন। জমিতে উৎপাদিত ফুলকপি বিক্রি করছেন স্থানীয় পাইকারের কাছে। ১০০ পিস ফুলকপি প্রকার ভেদে বিক্রি করা হচ্ছে ৩০০০-৩৫০০ টাকা। সেই হিসেবে ফুলকপির পিসের মূল্য ধরা হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। 


আরও পড়ুন: শ্রীনগরে টমেটো চাষে লাভবান কৃষক


স্থানীয় হাটবাজারে এসব ফুলকপির খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। তবে প্রকার ভেদে এর মূল্য কিছুটা কম বেশী হতে পারে। উদ্যোক্তা হাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ৫ বছর ধরে মৌসুমী শাক-সবজির ক্ষেতি করছেন। 


এবারও ফুলকপির চাষ করে সফলতা পাচ্ছেন। জমি থেকে ফুলকপি তুলে রাখা হচ্ছে। স্থানীয় সবজির পাইকারের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। ফ্রেস জাতের ফুলকপির বীজ সংগ্রহ করে নিজেই বীজতলা প্রস্তুত করে চারা করেছেন। প্রায় ৪ বিঘা জমিতে এসব রোপণ করেন। তার সর্বমোট খরচ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। 


ফুলকপির ক্ষেতিতে প্রায় ৫ লাখ টাকা লাভের সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। জানা গেছে, আড়িয়ল বিল এলাকার শ্যামসিদ্ধি, গাদিঘাট, শ্রীধরপুর, মদনখালী, বাড়ৈখালী, আলমপুর ও উপজেলার কল্লিগাঁও, তন্তরের পানিয়া, রুসদী, পাঁচলদিয়া, জুরাসার, বনগাঁও এলাকার বিভিন্ন জমিতে ফুলকপি চাষ করে স্থানীয়রা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। 


আরও পড়ুন: শ্রীনগরে আমের মুকুলে ঢাকা পড়ছে গাছ


উদ্যোক্তারা জানান, এ বছর ফুলকপির কাঙ্খিত ফলন ও দাম পাওয়ায় অধিক লাভবান হন। জমিতে প্রতি ফুলকপির উৎপাদণ খরচ ধরা হচ্ছে ৭-১০ টাকা। 


স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৬৬০ হেক্টর জমিতে ফুলকপিসহ মৌসুমী শাক-সবজির আবাদ করা হয়। বছরের প্রপ্রম দিকে ঝূর্ণিঝড় ও টানা বৃষ্টির প্রভাবে প্রায় ৩৩০ হেক্টর জমি সবজির আবাদ আক্রান্ত হয়।


আরএক্স/