শ্রীনগরে টমেটো চাষে লাভবান কৃষক
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:২৯ অপরাহ্ন, ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪
শ্রীনগরে টমেটো চাষে লাভবান হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। সবজির বাজার পাওয়ায় স্থানীয়রা উচ্চ ফলনশীল টমেটো চাষের দিকে ঝুকেছেন। বির্স্তীণ আড়িয়ল বিলের বিভিন্ন ভিটায় ও উপজেলার জুরাসার, পাঁচলদিয়া ও বিবন্দী এলাকার বিভিন্ন জমিতে টমেটোর চাষাবাদ করা হচ্ছে। পাইকারী দরে কৃষকের উৎপাদিত প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা।
স্থানীয় বাজারে প্রকার ভেদে টমেটোর কেজি খুচরাভাবে বিক্রি করা হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। গেল কয়েকদিন আগেও খোলা বাজারে টমেটোর কেজি কেনাবেচা হয়েছে ৬০ টাকা করে। এখন টমেটোর ভরা মৌসুম হওয়ায় দাম কিছুটা কম। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হাইটম, দিপালী, বাহুবালী ও থাইল্যান্ডের বিউটি ফুল নামক উন্নত জাতের টমেটোর চাষ করছেন। হাইব্রিড জাতের এসব টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীনগরে আগাম টমেটো চাষে লাভের স্বপ্ন বুনছে কৃষক
গোলাকার ও লম্বাকৃতির টক-মিষ্টি স্বাদযুক্ত টমেটোর কাঙ্খিত ফলন ও দাম পাওয়ায় উদ্যোক্তাদের মুখে হাসি ফুঁটেছে। সারি সারি গাছের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত থোকায় থোকায় টমেটোর সমারোহ।
আগামী মাহে রমজান মাসকে সামনে রেখে টমেটো বাগানের বাড়তি যত্নে নিচ্ছেন তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল টমেটোর উৎপাদণ হয়ে থাকে সাড়ে ৩০০-৪০০ মণ। এতে খরচ ধরা হচ্ছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। বাড়ৈখালী এলাকার মহিউদ্দিন ও জহির নামে দু’জন উদ্যোক্তা জানান, শ্রীধরপুরে বিলের একটি ভিটায় (৭০ শতাংশ) আগাম টমেটোর চাণষ করে লাভবান হয়েছে।
স্থানীয় পাইকারের কাছে ভালদামে বিক্রি করেছেন। উপজেলার পাঁচলদিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ৬০ শতাংশ জমিতে টমেটোর চাষ করেন তিনি। গত মৌসুমে প্রায় ৬শ’ মণ টমেটো উৎপাদিত হয়েছে। বাজার কম থাকায় লাভ কম হয়েছে। এবারও তিনি টমেটোর আবাদ করছেন।
এ চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। জুরাসার এলাকায় সাইফুল ইসলাম বলেন, গেলো বছর টমেটোর বাম্পার ফলন হলেও ফসলের বাজার মূল্য কম পেয়েছেন। এ বছর ১ বিঘা জমিতে থাইর্যান্ডের বিউটি ফুল জাতের টমেটোর চাষ করেছেন। কাঙ্খিত ফলন হয়েছে। ৪ দিন ধরে বাগানে উৎপাদিত টমেটো বাজারজাত করছেন।
আরও পড়ুন: ট্রাকভর্তি টমেটো ছিনতাই করল স্বামী-স্ত্রী
বর্তমানে ৩০ টাকা দরে টমেটোর কেজি বিক্রি করছেন। সাড়ে ৩০০ মণ টমেটো উৎপাদণের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছেন তিনি। বীরতারার টুকানী মাদবর ও সুরুজ শেখ জানান, ৬০ শতাংশ জমিতে টমেটোর সাথী ফসল হিসেবে আখের চারা রোপণ করেছেন। টমেটোর বাম্পার ফলনে অধিক লাভের আশা করছেন তারা।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৬০০ হেক্টর জমিতে টমেটোসহ অন্যান্য মৌসুমী শাক-সবজির আবাদ হচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল টমেটো চাষ লাভজনক হওয়ায় স্থানীয়দের আগ্রহ বাড়ছে।
আরএক্স/