শ্রীনগরে আগাম টমেটো চাষে লাভের স্বপ্ন বুনছে কৃষক
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৫০ অপরাহ্ন, ৫ই অক্টোবর ২০২৩
শ্রীনগরে আগাম টমেটো ক্ষেতিতে লাভের স্বপ্ন দেখছেন সবজি চাষিরা। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শীতকালীন আগাম শাক-সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পাড়া করছেন কৃষকরা।
মৌসুমী সবজির বাজার মূল্য বৃদ্ধির ফলে আগাম টমেটো, লাউ, মিষ্টি কুমড়াসহ নানান ধরণের শাক-সবজির বাণিজ্যিক চাষে স্থানীয়দের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। উচ্চ ফলনশীল আগাম টমেটোর চাষে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। বর্তমান খোলা বাজারে যে সব টমেটো পাওয়া যাচ্ছে এসব টমেটোর কেজি প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা।
এছাড়া মাঝারি আকারের আগাম লাউয়ের পিস কেনাবেচা হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা করে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আড়িয়ল বিল এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন উঁচু জমিতে টমেটোর চারা রোপণ করা হচ্ছে। বাগানের পরিচর্যা করা হচ্ছে। কোন কোন টমেটোর বাগানে গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে।
ধারনা করা হচ্ছে আগামী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি বাগানে উৎপাদিত টমেটো বাজারজাত করা শুরু হবে। লক্ষ্য করা গেছে, উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দীতে সড়কের পাশে টমেটোর ক্ষেতি করছেন এক তরুণ উদ্যোক্তা।
আরাফাত রহমান শিমুল নামে ওই উদ্যোক্তা বলেন, প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে উন্নত জাতের টমেটোর চারা রোপন করেছেন।
সব ঠিক থাকলে আগামী মাসে টমেটোর উৎপাদণ হবে। সাড়ে ৩ হাজার চারা রোপণ করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে কিছু চারা মারা যাচ্ছে। টমেটোর চাষে মোট খরচ ধরা হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। কাঙ্খিত ফলন পাওয়া গেলে বাগান থেকে ১০-১১ হাজার কেজি টমেটো বিক্রি হবে।
এতে ৫ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। মুসলিমপাড়ার সাইফুল ইসলাম জানান, গেল বছর আগাম টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন। এবারও আগাম টমেটো চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তবে যদি বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে আগাম টমেটোসহ অন্যান্য শাক-সবজির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। স্থানীয় কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. জুলহাসউদ্দিন জানান, উদ্যোক্তা শিমুলের টমেটোর বাগান করার বিষয়টি আমি অবগত। তার সাথে আমার যোগাযোগ রয়েছে। খুব শীঘ্রই টমেটোর বাগানটি পরির্দশনে যাবো।
ওই এলাকার বিবন্দী, মুসলিমপাড়া, বনগাঁও, পাঁচলদিয়া গ্রামে বেশ কয়েকজন তরুণ উদ্যোক্তা উঁচু জমিতে আগাম শাক-সবজি চাষ করছেন।
আরএক্স/