ভেঙ্গে যাওয়া ব্রিজ ২৪ ঘন্টার মধ্যে পরিদর্শন করলেন ইউএনও


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪


ভেঙ্গে যাওয়া ব্রিজ ২৪ ঘন্টার মধ্যে পরিদর্শন করলেন ইউএনও
ছবি: জনবাণী

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা লতাচাপলী ইউনিয়নে মম্বিপাড়া গ্রামের মাঝ দিয়ে বড়হরপাড়া প্রবাহমান খালের ওপর নির্মিত আয়রন ব্রিজটির (সাধুর ব্রীজ নামে পরিচিতি) সম্পূর্ণ ভেঙে পিকআপ ভ্যানসহ একটি সেতু ভেঙ্গে খালের মধ্যে পড়ে গেছে। 


রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ১১টার দিকে লতাচাপলী বড়হরপাড়া খালের উপর নির্মিত ওই ব্রীজট ভেঙে পড়ে। সোমবার দুপুরে সেই সেতু পরিদর্শন করলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর হোসেন। মানুষের চলাচলের জন্য জরুরী ভিত্তিতে একটি কাঠের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 


আরও পড়ুন: ভোলার ৪টি সংসদীয় আসনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে


জনগুরুত্বপূর্ণ এ আয়রণ সেতুটি ভেঙে পড়ায় কুয়াকাটায় আগত পর্যটক সহ ৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ খাল পারাপারে ভোগান্তি পড়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। পুরনো এই ব্রীজ নড়েবড়ে হয়ে পড়েছে প্রায় দুই বছর আগে। তবুও সংস্কার করা হয়নি। গত বছর হঠাৎ একদিন ব্রীজটি কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। 


এই বীজ দিয়ে প্রতি দিন লতাচাপলী ইউনিয়নের মম্বিপাড়া, নতুন বাজার, বড়হরপাড়া, পৌরঘোজা এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ ঐ এলাকার মানুষ চলাচল করে। কুয়াকাটায় অগত পর্যটকরা বৌদ্ধ মন্দির দেখতে যাওয়ার একমাত্র সহজ পথ ছিল এটি। এ সময় তাঁর সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সাদিকুর রহমান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তৃতি কর্মসূচি (সিপিপি) লতাচাপলী ইউনিয়ন টিম লিডার মোঃ শফিকুল আলম। 


বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, এক বছর ধরেই আমরা এই ভাঙা ব্রীজ পার হয়ে যাওয়া আসা করি। তবে ব্রীজটি সম্পূর্ণ ভাঙার কারণে এখন যাতায়াতে অনেক সমস্যা হবে। ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে যেতে অনেক সমস্যা হবে। চরম ভোগান্তিতে পড়বে অসুস্থ রোগীরা। কলাপাড়া এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সাদিকুর রহমান জানান, ব্রীজটি অপসারণ করে ওই খালের উপর একটি নতুন গার্ডার সেতু নির্মাণের প্রস্তব পাঠানো হয়েছে। আপাতত একটি কাঠের সাথে নির্মাণ করা হবে। 


আরও পড়ুন: পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। এ সেতুটি অনেক দিনের পুরনো, যার কারণে এটি ভেঙে পড়েছে। পথচারীদের সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য একটি অস্থায়ী কাঠের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


আরএক্স/