চট্টগ্রামের উন্নয়ন হলে সারাদেশের উন্নয়ন হবে: প্রধানমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


চট্টগ্রামের উন্নয়ন হলে সারাদেশের উন্নয়ন হবে: প্রধানমন্ত্রী

চট্টগ্রামের উন্নয়ন হলে সারাদেশের উন্নয়ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৬ মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলা। চট্টগ্রাম আমাদের বাণিজ্য নগরী। সুতরাং চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন করা আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করি। চট্টগ্রামের উন্নয়ন করতে পারলে সারাদেশই উন্নত হবে। এতে কোনও সন্দেহ নেই। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রফতানি সর্বক্ষেত্রে চট্টগ্রামের বিরাট অবদান রয়েছে। সুপেয় পানি নিয়ে চট্টগ্রামের মানুষের অনেক অসুবিধা ছিল। এটা শুধু চট্টগ্রাম নয় বাংলাদেশের প্রায় জেলায় এ সমস্যা রয়েছে। আমরা সরকারে আসার পর থেকে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি এ সমস্যাগুলোর সমাধান করার জন্য। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার পর চট্টগ্রামে পানির সমস্যা সমাধানে আমরা প্রকল্প হাতে নিই। ১৯৯৯ সালে জাইকা কর্ণফুলী নদী থেকে পানি শোধন করে সরবরাহের প্রকল্প গ্রহণ করে এবং সমীক্ষা করে। ২০০১ সালে আমরা সরকারে আসতে পারিনি। তাই কাজটিও সম্পন্ন হয়নি। দ্বিতীয়বার আমাদের সরকারে আসার পর ২০১১ সালে আবার আমরা উদ্যোগ নিই এবং কাজ শুরু করি। চট্টগ্রামে ২০১৭ সালে প্রথম পানি শোধনাগার-১ চালু করা হয়। এতে চট্টগ্রাম নগরে পানি সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। তবে স্বাভাবিকভাবে চাহিদা বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে আমরা আরও একটি উদ্যোগ নিই। ২০২০ সালে মদুনাঘাটে ৯ হাজার কোটি লিটার ধারণক্ষমতার শেখ রাসেল পানি শোধনাগার উদ্বোধন করি।’

চট্টগ্রামে আরও ৫টি পয়োশোধনাগার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার জন্য বিশেষ প্রকল্প দেওয়া হয়েছে এবং সেটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প প্রথমম পর্যায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম মহানগরীতে আরও ৫টি পয়োশোধানাগার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।’

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার অনুরোধ থাকবে বৃষ্টির পানি যাতে সংরক্ষণ করা হয়। যখনই আপনারা প্রতিষ্ঠান তৈরি করবেন প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেই যাতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের একটি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শুধুমাত্র পানি শোধন করে দিব তা না, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা এবং তা ব্যবহার করা একান্তভাবে দরকার।’

কর্ণফুলী নদীর দূষণরোধে বিশেষ নজর দেওয়ার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘চট্টগ্রামে যেহেতু ব্যাপক শিল্পায়ন হচ্ছে, কাজেই কর্ণফুলী, হালদা, সাংঙ্গুসহ যে কয়টি নদী আছে সেগুলো যাতে কোনোভাবে দূষণ না হয়। দূষণের হাত থেকে সেগুলো রক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে কর্ণফুলী নদীর দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। প্রত্যেকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।’

এ সময় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শহরকে সুরক্ষিত রাখতে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে ওই অঞ্চলটা সুরক্ষিত থাকবে এবং পর্যটনের দিক থেকে সুবিধাও হবে। চট্টগ্রামের প্রকৃতি ও সৌন্দর্য রক্ষা করে যেন সার্বিক উন্নয়ন হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার আহবান জানান তিনি।’

ওআ/