ডিএনসিসি'র অভিযান
অভিযানের খবর পেয়ে বাথরুমে সিলিন্ডার লুকালো ‘কাচ্চি ভাই’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩২ অপরাহ্ন, ৬ই মার্চ ২০২৪
ট্রেড লাইসেন্স ব্যতীত কোনো কাগজপত্র না থাকায় রাজধানীর গুলশান-২ এর নাম্বারে ‘কাচ্চি ভাই’কে লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এদিকে, অভিযানের খবর পেয়ে বাথরুমে গ্যাস সিলিন্ডার লুকিয়ে রেখেছে গুলশান দুই নম্বরে অবস্থিত ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। অবশ্য রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, সিলিন্ডারে গ্যাস না থাকার কারণে বাথরুমে সেটি রেখে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ মার্চ) গুলশান এবং বনানী এলাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করতে অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) একটি দল। অভিযান পরিচালনা করছেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন। অভিযানের একপর্যায়ে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে গেলে এ চিত্র দেখা যায়।
আরও পড়ুন: কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ‘কাচ্চি ভাই’
বাথরুমে গ্যাস সিলিন্ডার রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ দাবি করে, সিলিন্ডারে গ্যাস না থাকার কারণে সেটি বাথরুমে রেখে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ট্রেড লাইসেন্স ব্যতীত কোনো কাগজপত্র না থাকায় কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন বলেন, ট্রেড লাইসেন্স ব্যতীত কোনো কাগজপত্র না থাকায় কাচ্চি ভাইকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তিন মাসের জেল দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে ফায়ার সার্টিফিকেট ও পরিবেশের ছাড়পত্রসহ সব অনুমোদন সম্পন্ন করতে হবে। যদি কাগজপত্র প্রস্তুত না হয়, তাহলে কাচ্চি ভাই সিলগালা করা হবে।
আরও পড়ুন: গুলশানের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় ডিএনসিসির অভিযান শুরু
প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অনেকে। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, বেইলি রোডের সেই ভবনের প্রথম তলায় ‘চায়ের চুমুক’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত, যা পরে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তদারকি করতে অভিযান পরিচালনা করছে বিভিন্ন সংস্থা।
জেবি/এজে