চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস দমনে সবার সহযোগিতা চাইলেন এমপি খসরু চৌধুরী
আলিফ হাসান
প্রকাশ: ০৪:২৮ অপরাহ্ন, ৮ই মার্চ ২০২৪
এলাকায় চাঁদাবাজি বন্ধ, ফুটপাত দখলমুক্ত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে প্রশাসন, রাজউক ও সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী। তিনি সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং এবং মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেও সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে উত্তরায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।খসরু চৌধুরী বলেন, জনগণ অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। তাই তাদের কল্যাণে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের বিষয়ে আজকে আপনাদের অবহিত করব। প্রথমেই বলতে চাই, কয়েকটা দিন পরেই শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। এই মাসে ঢাকা-১৮ আসনের অন্তর্গত কোনো মার্কেট বা বাজারে, কারসাজি করে কোনো নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না। বিভিন্নস্থানে চাঁদাবাজি চলছে জানিয়ে তা বন্ধে কাউন্সিলর এবং প্রশাসনের সহযোগিতা চান খসরু চৌধুরী।
তিনি বলেন, উত্তরা, উত্তরখান এবং দক্ষিণখানসহ আমার সংসদীয় আসন ঢাকা-১৮ এর বিভিন্নস্থানে চলছে নীরব চাঁদাবাজি। ফুটপাত দখল করে দোকান বা ভ্যান বসিয়ে অনেকে চাঁদা তুলছেন। আবার কেউ ব্যস্ত রিকশা বা অটো থেকে চাঁদা তুলতে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পুরোপুরিভাবে এসব চাঁদাবাজি বন্ধে আমি কাউন্সিলর এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। একইসঙ্গে এই এলাকায় রেললাইনের পাশের সরকারি জমিতে কিংবা রাজউকের অনেক জায়গায় অবৈধ মার্কেট বা স্থাপনা করে দখল করে রেখেছে স্বার্থান্বেষী মহল। দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা জরুরি। এ বিষয়ে আমি রাজউক এবং সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতা ও দৃশ্যমান পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।
মো. খসরু চৌধুরী বলেন, এখন বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় নতুন আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং। কিছু গডফাদার এবং অসাধুচক্র এদেরকে মাদক বিক্রিসহ নিজেদের নানা স্বার্থে ব্যবহার করছে। কিশোর গ্যাং এর উৎপাতে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ। দিনে দুপুরে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদক। তাই এদের প্রতিহত করতে হবে। এজন্য মাদক, সন্ত্রাস এবং কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আরও জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। বিশেষকরে এদের মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি। তিনি প্রত্যাশা জানিয়ে বলেন, এসবের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে যেতে পারবো আমরা, যাতে জনগণের কল্যাণ ও শান্তি নিশ্চিত হবে।
আরএক্স/