পদ্মার চরে দর্শনার্থীর ভীড়ে সূর্যমুখীর সৌন্দর্য উপভোগে লাগবে টিকেট


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৩৬ অপরাহ্ন, ১১ই মার্চ ২০২৪


পদ্মার চরে দর্শনার্থীর ভীড়ে সূর্যমুখীর সৌন্দর্য উপভোগে লাগবে টিকেট
ছবি: জনবাণী

শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল এলাকার পদ্মার চরে সূর্যমুখীর ফুলের সৌন্দর্য উপভোগে প্রত্যোক দর্শনার্থীকে গুণতে হবে ২০ টাকা। ফসল রক্ষার জন্যই স্থানীয় কৃষক বাধ্য হয়ে সূর্যমুখীর জমিতে প্রবেশের জন্য এই টিকেট মূল্য নির্ধারণ করেন। 


গত ৩ দিনে টিকেট বিক্রি হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। টিকেট বিক্রির টাকা ভুক্তভোগী কৃষক না রেখে দিচ্ছেন ফসল রক্ষার কাজে থাকে জমি পাহাড়াদারদের।


আরও পড়ুন: সয়াবিনের বিকল্পে সুর্যমূখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে শ্রীনগরের কৃষকদের


ভাগ্যকুলের কামারগাঁও গ্রামের মো. কাউসার খান প্রথম বারের মত পদ্মার চরে প্রায় ১৬ বিঘা ভূমিতে কাদেরী জাতের সূর্যমুখীর আবাদ করেন। ক্ষেতে সূর্যমুখীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতশত নারী-পুরুষ আসতে শুরু করেন এখানে। দর্শনার্থীদের এই ভিড় যেন দিনদিন বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতিতে মানুষের পদচারণায় সূর্যমুখীসহ চরের অন্যান্য আবাদি ফসল নষ্ট হয়। এতে প্রান্তিক কৃষকরা ক্ষতির মুখে পরে। 


বাধ্য হয়েই লোক সমাগম ঠেকাতে সূর্যমুখীর ক্ষেত দেখতে টিকেটিং ব্যবস্থা করা হয়। কৃষক মো. কাউসার খান বলেন, সূর্যমুখীর জৌলুস ছড়িয়ে পড়লে দূরদুরান্ত থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী চরে আসতে শুরু করে। তারা সূর্যমুখীর জমিতে ঢুকে অপরিপক্ক ফুল ছেড়াসহ তেলবীজ বেড় করে নেয়। এছাড়া মানুষের পদচারণায় আশ পাশের কালো জিরা, ভুট্রা, তিলসহ অন্যান্য আবাদি রবি-শস্য মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। কোনভাবেই লোক ঠেকানো যাচ্ছিলনা। বাধ্য হয়েই সূর্যমুখীর জমিতে টিকেট ব্যবস্থা করি। গত ৩ দিনে টিকেট বিক্রি হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। ধারনা করা হচ্ছে জমিতে আর ৮/১০ দিন সূর্যমুখীর ফুলের সমারোহ থাকবে। ফসল রক্ষায় এলাকার কয়েকজন ছেলেকে পাহাড়ায় রেখেছি। তাদেরকে টিকেট বিক্রির টাকা দিয়ে দিচ্ছি। 


আরও পড়ুন: শ্রীনগরে টমেটো চাষে লাভবান কৃষক


তিনি বলেন, ৪ জন মিলে ১৬ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন। এতে মোট ৪ লাখ টাকা খরচ ধরা হচ্ছে। ক্ষেতের ফসল নষ্ট না করার জন্য দর্শনার্থীদের অনুরোধ করেছেন তিনি। 


ভাগ্যকুল ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি অফিসার (কামারগাঁও ব্লক) সাবিত্রী রানী জানান, কামারগাঁও কৃষকদের সূর্যমুখীর তেলবীজ উৎপাদণ প্রণোদনার আওতায় বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। চরে ভূমিতে কৃষক কাউসার খান সূর্যমুখীর চাষ করে ব্যাপক সারা ফেলেছেন। সূর্যমুখীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন। তাদের পদচারণায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট কৃষকদের জমিতে বেড়া দেওয়ার পাশাপাশি পাহারাদার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 



আরএক্স/