ইফতারের আগে যে তিন ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৫ অপরাহ্ন, ১৩ই মার্চ ২০২৪
পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। পবিত্র মাসে এই মাসে প্রত্যেক মুসলিম উম্মাহর জন্য রোজা রাখা আবশ্যক বা ফরজ। রমজানে ইফতারের আগ মুহূর্তে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের দোয়া কবুল করেন।
ইফতারের আগ মুহূর্তে দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না; এ ব্যাপারে সহীহ হাদিস রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তিন ব্যক্তির দোয়া অগ্রাহ্য করা হয় না (বরং কবুল করা হয়); পিতার দোয়া, রোজাদারের দোয়া এবং মুসাফিরের দোয়া।” (বাইহাকী ৩/৩৪৫, প্রমুখ, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১৭৯৭নং)
সুতারাং রোজাদার ব্যক্তির জন্য ইফতারের আগমুহূর্ত পর্যন্ত যে কোনও সময় দোয়া কবুল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়। বিশেষ করে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে মানুষ ক্ষুধা-পিপাসায় কাতর ও ক্লান্ত-শ্রান্ত থাকে। তাই সে সময় দোয়া কবুলের সম্ভাবনা আরো বেশি। কারণ এ ধরনের দুর্বল ও কষ্টকর অবস্থায় দোয়া করা হলে তা কবুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আরও পড়ুন: ফজরের পর যে আমল করবেন
এ বিষয়ে একটি হাদিস রয়েছে- “ইফতারের সময় রোজাদারের জন্য এমন একটি দোয়া রয়েছে যা ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।” (ইবনে মাজাহ, হাকিম)
এ হাদিসটি সহীহ না কি জঈফ এ বিষয়ে মুহাদ্দিসদের মাঝে দ্বিমতও রয়েছে। আল্লামা আলবানী রহ. এটিকে সনদগতভাবে জঈফ সাব্যস্ত করে থাকলেও ইমাম বূসীরী, ইবনে হাজার আসকালানী, আহমদ শাকেরসহ কতিপয় মুহাদ্দিস সহীহ/হাসান হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: কী কারণে রোজা ভেঙে যায়?
মোটকথা, এ হাদিসটিকে জঈফ ধরে নিলেও রোজা অবস্থায় দোয়া কবুলের সহীহ হাদিস অনুযায়ী এবং ইফতারের আগ মুহূর্তে রোজাদারদের দুর্বল অবস্থায় থাকার পরিপ্রেক্ষিতে ইফতারের আগে দোয়া করলে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইনশাআল্লাহ। তাই রোজাদারের উচিৎ, সারা দিন রোজা অবস্থায় দোয়া করার সুযোগকে হাত ছাড়া না করা। বিশেষ করে ইফতারে আগের সময়টিকে দোয়ার জন্য বেশি গুরুত্ব দেওয়া।
জেবি/এসবি