অনেক দেশের থেকে বাংলাদেশ ভালো চলছে: ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৩ অপরাহ্ন, ১৫ই মার্চ ২০২৪
বাংলাদেশ অন্য অনেক দেশের থেকে ভালো চলছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের ব্রিফিংকালে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও সরকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি নাকি ব্যর্থ? এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিম্মিও না, ব্যর্থও না। দেশটা অনেকের চেয়ে ভালো চলছে। সারা বিশ্বের যে অবস্থা, আজকে শুধু ডলারের দামই না.... সারা বিশ্বের যে বেহাল অবস্থা, আমি বার বার আপনাদেরকে বলতে চেয়েছি সারা বিশ্বেই এই সমস্যা চলছে। বাংলাদেশ আলাদা কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয় যেখানে আমরা আপনাদের অনেক সুখে শান্তিতে রাখতে পারব। অন্যেরাও ভালো নেই, আমরাও ভালো নেই।আন্তর্জাতিকভাবেও সবাই একযোগে ভালো থাকার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে
পরিবহনের চাঁদাবাজির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবহনের চাঁদাবাজি সারা জনম ধরেই চলে আসছে। এটা নতুন কিছু নয়। তবে এ চাঁদাবাজিটা বন্ধ করার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী লোকজনও বেশ তৎপর। প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাই একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে এধরনের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। একেবারের জন্য বন্ধ করা যাবে এ কথা আমি বলব না। দীর্ঘদিনের এই কালচারটা হাঠাৎ করেই বন্ধ করা যাবে না। তবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
বাংলাদেশে পরিবহনের চাঁদাবাজি কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি কি বাংলাদেশকে আলাদা একটি স্বর্গরাজ্য ভাবছেন?
ড.ইউনুসকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে একজন কংগ্রেসম্যান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন, সে প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্টের সম্পর্ক আরও নিবিঢ় করার জন্য চেষ্টা চলছে। ড. ইউনুসকে হয়রানি করা হচ্ছে এ মর্মে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসম্যান। বলা হচ্ছে তার এমন মন্তব্য সম্পর্কে কেমন প্রভাব পড়বে, প্রভাব কেন পড়বে? আমার দেশের আইন ও আমার দেশের বিচার ব্যবস্থায় কোনো ব্যক্তি যদি তার কাজের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হয়, কোনো ধরনের বিচারের মুখোমুখি হয় সে অবস্থায় আমার দেশের বিচার ব্যবস্থার যে কোনো ধরনের স্বাধীনতা সে স্বাধীনতার উপর বাইরের কারোরতো কোন কিছু বলার অধিকার থাকতে পারে না।
আরও পড়ুন: ‘বিএনপি জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে’
এসময় তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সাবেক প্রেসিডেন্টের ওপর এতগুলো চার্জ এনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। সেখানে ২০১৩ সাল থেকে মামলায় কোর্টে হাজিরা দিচ্ছেন তিনি। তো সেখানে রেজাল্ট কেমন হবে, রায় ঘোষণার আগে তো আমরা কিছু বলতে পারছি না। সেখানে সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেছে। সে মামলাও চলমান রয়েছে। তাহলে এর মধ্যে বিচার ব্যবস্থা এবং বন্ধুত্বের মধ্যে সম্পর্ক কী?
এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
এমএল/