রামুতে অস্ত্রসহ ডাকাত দলের সদস্য আটক
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, ১৬ই মার্চ ২০২৪
কক্সবাজারের রামুতে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের এক সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
র্যাব - ১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, শনিবার ভোররাতে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ঘোনারপাড়ায় এ অভিযান চালানো হয়েছে।
আটক মনছুর আলম (২০) বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের থিমছড়ি এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।
র্যাব জানিয়েছে, মনছুর আলম আন্তঃজেলা জাকাতদলের সক্রিয় সদস্য। সে ডাকাতদলটির সর্দার মো. নুরুল আবছার ওরফে আবছারের সহযোগী ও দেহরক্ষী। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রামুতে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রসহ নিহত ২
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র বেচাকেনা ও অপরাধী চক্রের কাছে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। শনিবার ভোররাতে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের ঘোনারপাড়ায় নুরুল আবছারের বাড়িতে কতিপয় দুষ্কৃতিকারি বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ অবস্থান করছে খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আবছারসহ ২/৩ জন দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, “আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে দেশিয় তৈরী একটি বন্দুক পাওয়া যায়। পরে ডাকাত সর্দার নুরুল আবছারের বসত ঘর তল্লাশী করে পাওয়া যায় দেশিয় তৈরী ৬ টি লম্বা বন্দুক, ২ টি গুলি, ২০০ গ্রাম গান পাউডার ( বিস্ফোরক দ্রব্য ) এবং অস্ত্র বেচাকেনা বাবদ নগদ ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।”
আরও পড়ুন: ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রামুতে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধ নিহত
র্যাব এ কর্মকর্তা বলেন, “আটক ব্যক্তি স্বীকারোক্তি দিয়েছে, বিভিন্ন মাধ্যমে অস্ত্র সংগ্রহ নিজেদের হেফাজতে মজুদ রাখতো। এসব অস্ত্র নিজেরা অপরাধ কর্মকান্ডে ব্যবহারের পাশাপাশি কক্সবাজার শহর এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুষ্কৃতিকারিদের সরবরাহ করে থাকে।”
আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে রামু থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান লে. কর্নেল এইচ এ সাজ্জাদ হোসেন।
জেবি/এসবি