অবন্তিকার আত্নহনন: কাগজপত্র হাতে পেলেন তদন্ত কমিটি


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৩৪ অপরাহ্ন, ১৮ই মার্চ ২০২৪


অবন্তিকার আত্নহনন: কাগজপত্র হাতে পেলেন তদন্ত কমিটি
ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা - ফাইল ছবি

শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যাজনিত কারণে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ওই শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা ৩০ পর্যন্ত দেড় ঘন্টা ব্যাপী কমিটির আহ্বায়কের কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।


সভা শেষে কমিটির আহবায়ক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করছি। শুরু থেকেই এই ঘটনায় যারা যারা সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা ধারাবাহিকভাবে ডাকার চেষ্টা করবো।


আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যায় সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীর সংশ্লিষ্টতা আছে: ডিএমপি


তদন্ত কমিটির দ্বিতীয় সভা সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন।


তদন্ত কমিটির সদস্য ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, প্রথম সভায় ঘটনা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং নিজেরা বিশ্লেষণ করেছে। সেগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। আরও তিন চারটা সভার পর তদন্ত কোন দিক দিয়ে আগাবো সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো।


পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রঞ্জন কুমার দাস।


আরও পড়ুন: ‘বিচার কার কাছে দেব’, জবি ছাত্রী অবন্তিকার মায়ের আহাজারি


এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও ‘পিসি পার্ক স্মরণিকা’ নামের ১০ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় অবন্তিকা গলায় রশ্নি বেধে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। কুমিল্লা সদর হাসপাতালের রাত্রিকালীন দায়িত্বে থাকা ডাক্তার জুবায়ের তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


মৃত্যুর ১০ মিনিট পূর্বে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেছেন। একইসঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন।


জেবি/এসবি