সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অগ্রগতি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অগ্রগতি

দেশের মানুষের মানসিক সুখ, অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ও সামাজিক তথ্যাদির ভিত্তিতে মূলয় বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় ৭ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০১তম থেকে এগিয়ে হয়েছে ৯৪তম। সুখের পরিমাপক হিসেবে একটি দেশের সামাজিক সুযোগ-সুবিধা, সামাজিক উদারতা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপি, গড় আয়ু ও দুর্নীতির মতো বিষয়গুলোকে সামনে রাখা হয়।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়। প্রকাশিত এই তালিকায় বাংলাদেশের কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। দেশের নাগরিকদের মানসিক সুখ, অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ও সামাজিক তথ্যাদির ভিত্তিতে মূলয় বার্ষিক প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে ফিনল্যান্ড। এ নিয়ে পরপর পাঁচ বছর সবচেয়ে সুখী দেশ হওয়ার গৌরব ধরে রাখল উত্তর ইউরোপের দেশটি। 

ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে এবার করোনা মহামারির আগে এবং পরে মানুষের আবেগ তুলনা করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অ্যানালিটিক রিসার্চ গ্যালাপ থেকে পাওয়া তথ্যও রিপোর্ট তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে। এ নিয়ে দশমবারের মতো হ্যাপিনেস রিপোর্ট প্রকাশিত হলো।

রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী দেশ আফগানিস্তান। এরপরই রয়েছে লেবানন। সুখী দেশের তালিকায় সার্বিয়া, বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়ার উন্নতি হলেও লেবানন, ভেনেজুয়েলা এবং আফগানিস্তানের বড় পতন হয়েছে।

১৪৭ দেশের মধ্যে ১৪৬ নম্বরে রয়েছে অর্থনৈতিক সংকটে ভোগা লেবানন। এ তালিকায় একেবারে তলানিতে রাখা হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে। বলা হয়েছে, তালেবান ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।

এবারের সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে উত্তর ইউরোপের দেশগুলো। তালিকায় ফিনল্যান্ডের পরই আছে ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। এই তালিকায় তিন ধাপ এগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অবস্থান এখন ১৬। আর যুক্তরাজ্যের অবস্থান ১৫। ফ্রান্সের অবস্থান ২০।

এছাড়া সুখী দেশের র‍্যাংকিংয়ে সাত ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। তালিকায় ৯৪ নম্বরে রয়েছে। এটাকে একটা বড় অগ্রগতি বলেই ধরা যেতে পারে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ১৩৬ এবং পাকিস্তান ১২১।

এসএ/