বজ্রপাত থেকে বাঁচতে মেনে চলুন ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫০ অপরাহ্ন, ২৯শে মার্চ ২০২৪
মার্চ মাসে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। অনেক সময় এই ঝড় প্রাণঘাতী রূপ নেয়। গ্রীষ্মকালে এ ঝড়ের আগমন ঘটে, কালবৈশাখী ঝড়ে বাতাসের গড় গতিবেগ ঘন্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার হয়ে থাকে একইসাথে দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতের ঘটনাও লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিবছর সারাদেশে দুই শতাধিক মানুষের বজ্রপাতে মৃত্যু হয়। নাসার তথ্য অনুযায়ী, বজ্রপাতের অন্যতম হটস্পট হলো বাংলাদেশ। সিলেট অঞ্চল বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা। সাধারণত বৈশাখ মাসে বজ্রপাত সংঘটিত হয়ে থাকে। বজ্রপাতের কারণ হিসেবে বলা হয় স্থির তড়িৎ বা Static Electricity।
বজ্রপাত থেকে মৃত্যুর হার কমাতে ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর নির্দেশনা প্রদান করেছে।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১) বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, ধাতব পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
২) প্রতিটি ভবনে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।
৩) খোলা স্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত সংঘটিত হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে অবস্থান করুন।
৪) খোলা স্থানে কোন বড় গাছের নিচে আশ্রয় নেয়া যাবে না। গাছ থেকে ৪ মিটার দূরে অবস্থান করুন।
আরও পড়ুন: ৪ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে
৫) বাড়িতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকলে সবাই একত্রে না থেকে বিভিন্ন কক্ষে অবস্থান করুন।
৬) ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকুন। বৈদ্যুতিক তারের নিচ থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করুন।
৭) ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগ বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখুন।
৮) বজ্রপাতে আহতদের বৈদ্যুতিক শকের মতো করেই চিকিৎসা দিতে হবে।
৯) এপ্রিল-জুন মাসে বজ্রপাত বেশি হয়। এই সময়ে আকাশে মেঘ দেখা দিলে ঘরে অবস্থান করুন।
১০) যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।
১১) বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার নিকট বা বারান্দায় থাকবেন না এবং ঘরের ভেতরের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
১২) ঘন-কালো মেঘ দেখা দিলে অতি জরুরী প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বাহিরে বের হতে পারেন।
১৩) উঁচু গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, তার, ধাতব খুঁটি ও মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
আরও পড়ুন: রাত ১টার মধ্যে যেসব জায়গায় ঝড় হতে পারে
১৪) বজ্রপাতের সময় জরুরী প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।
১৫) বজ্রপাতের সময় খোলা স্থান, মাঠ বা উঁচু স্থান পরিহার করুন।
১৬) আকাশে কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা ও জলাশয় থেকে দূরে অবস্থান করুন।
১৭) বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা ময়দানে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন।
১৮) বজ্রপাতের সময় খোলা স্থানে থাকলে পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।
১৯) বজ্রপাতের সময় গাড়ির মধ্যে অবস্থান করলে, গাড়ির ধাতব অংশের সাথে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। সম্ভব হলে গাড়িটিকে কোন কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
২০) বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
এমএল/