হাসপাতালে নবজাতক শিশুকে রেখে পালালেন মা


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, ১৭ই এপ্রিল ২০২৪


হাসপাতালে নবজাতক শিশুকে রেখে পালালেন মা
ছবি: প্রতিনিধি

পটুয়াখালী মেডিমেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নবজাতক শিশুকে রেখে পালালো মা ও পরিবারের সদ্যসরা। দুমকী উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মোজাম্মেল হকের মেয়ে সানজিদা আক্তার পপি ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। 


জানা যায়, একই উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সাতানী গ্রামের আব্দুর রব হাওলাদারের ছেলে আল আমিন হাওলাদারের সাথে সানজিদা আক্তার পপির সাথে  ১১ মাস আগে বিয়ে হয়। ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এই নারী তার স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায়  পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্বামীর অজান্তে  বাচ্চাটিকে  মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ইনজেকশন দেয়, পরবর্তীতে অন্তঃসত্ত্বা নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়ায় সোমবার (১৫ এপ্রিল)  পটুয়াখালী সদর হসপিটাল রেফার করে ভর্তি করা হয়।


আরও পড়ুন: দুমকিতে দুই দিনব্যাপী প্রধান মন্ত্রীর পক্ষে ঈদ উপহার বিতরণ 


ভর্তির পরের দিন মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর নবজাতক শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ না থাকায় আইসিইউতে ভর্তি করে, শিশুটির মা ও নানা, নানী,খালাসহ হসপিটাল থেকে লাপাত্তা হয়ে যায়।


শিশুটির ফুপু জানান, আমি এই খবর শুনে হসপিটালে আসলে কাউকে খুঁজে পাই না পালিয়ে যায় সবাই। তিনি আরো বলেন,  আমার ভাইকে ফাঁসাতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।


আরও পড়ুন: দুমকিতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কোটি টাকা লোপাট


নবজাতকের বাবা আল আমিন হাওলাদার  বলেন, আমি চাকরির কারণে দূরে থাকি,  আমার শশুর বাড়ির সাথে বনিবনা না থাকায়  আমাকে ফাঁসাতে আমার শ্বশুর, শাশুড়ি, বউ এমনটি করছে। আমার বাচ্চাকে মেরে ফেলে আমাকে মার্ডার মামলায় ফাঁসাতে চেয়েছিলো।বাচ্চাকে মারতে না পেরে সবাই পালিয়ে যায়।


এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাসিম বলেন, এ বিষয়ে এখনো আমরা কোন তথ্য পাইনি। 


জেবি/এসবি