বৃষ্টির জন্য নামাজ নাকি দোয়া কোনটি উত্তম?
ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:৫৬ অপরাহ্ন, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪
বৈশাখের শুরু থেকেই তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। গাছ-পালা কাটা ও বন উজার করায় বাতাসের গতিও কম। তবে কখনো কখনো বয়ে যাচ্ছে লু-হাওয়া। এক পশলা বৃষ্টির আশায় গ্রাম ও শহরের সবাই তাকিয়ে আছে আকাশ পানে।
কোথাও কোথাও বৃষ্টির জন্য নামাজ ও ইসতিসকা করা হচ্ছে। যদিও সর্বসম্মতি ক্রমে আল্লাহর কাছে ইসতিসকার দোয়া করা সুন্নত তবে নামাজ নিয়ে রয়েছে মতভেদ।
আরও পড়ুন: যেখান থেকে আসে গরমের তীব্রতা
ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেন ইসতিসকার জন্য দোয়া করাই যথেষ্ট তবে নামাজ আদায় সুন্নত নয়। দলিল হিসেবে তিনি বলেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রা.) বলেছেন যে, (একবার) রসুল (সা.) বের হয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া করলেন এবং কিবলা মুখী হওয়ার সময় তার চাদর উল্টিয়ে দিলেন। (সহিহ মুসলিম:১৯৪৭)
অধিকাংশ তাবেয়ী ও কতিপয় হানাফি মাজহাবের আলেমের মত অনুযায়ী নামাজ ও দোয়া করা উভয়টাই সুন্নত। তারা দলিল হিসেবে নিম্নোক্ত হাদিস সমূহ পেশ করেন।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রা.)কে আযান স্বপ্নে দেখানো হয়েছিল, তার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসুল (সা.) ‘বৃষ্টির দোয়া করার জন্য সালাতের স্থান অভিমুখে রওয়ানা হলেন, তখন তিনি কিবলা অভিমুখী হলেন ও তার (পরিধেয়) চাঁদর উল্টিয়ে দিলেন এবং দু’রাকআত সালাত আদায় করলেন’। (সুনানে ইবনে মাজাহ:১২৬৭)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনু যায়িদ ইবনু আসিম রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘নবি সা. ঈদগাহে বের হলেন, বৃষ্টির জন্য দু’আ করলেন, কিবলার দিকে মুখ করলেন, চাঁদর পাল্টালেন এবং দু’ রাকআত সালাত আদায় করলেন।’(সহিহ মুসলিম:১৯৪৪)
আরও পড়ুন: ওমরাহ করতে বাংলাদেশিদের লাগবে না ভিসা
গ্রহণযোগ্য মত
ইসতিসকার নামাজ পড়া মুস্তাহাব। তা আদায়ের পদ্ধতি হলো, ইমাম একটি দিন নির্ধারণ করবেন। সেই দিন তিনি সব লোককে নিয়ে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে খোলা প্রান্তে যাবেন। সেখানে আজান ইকামাত ছাড়া দুই রাকাত নামাজ পড়বেন। নামাজে উচ্চস্বরে কিরাত পাঠ করবেন। নামাজের পরে খুতবা দেবেন এবং খুতবার শুরুতে চাদর ঘুরিয়ে দেবেন, তার পর কেবলার দিকে দাঁড়িয়ে দুহাত তুলে দোয়া করবেন।, সবাই বসে বসে আমিন বলবেন। টানা তিন দিন ইসতিসকার জন্য বের হওয়া মুস্তাহাব। (দারুল উলুম দেওবন্দের মুস্তাফাদ ফাতাবি (৫/২৩৮, ২১৪)
জেবি/এজে