কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ময়লার ভাগাড়, তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরছেন পর্যটক
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪
ঈদের পর থেকেই অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে আছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। সৈকতের এসব ময়লা আবর্জনার দুর্ঘন্ধে একটু প্রশান্তি পেতে ছুটে আসা পর্যটকরা ফিরছেন তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে। সৈকতের সৌন্দর্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি পর্যটন ব্যবসায়ী সহ পর্যটকদের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, যেখানে-সেখানে পড়ে আছে ডাবের খোসা, প্লাষ্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট, সিগারেটের প্যাকেট ও খাবারের পঁচা অবশিষ্টাংশ সহ অসংখ্য আবর্জনা। আর ডাষ্টবিনগুলোর চারপাশ ময়লায় সয়লাব। কোন অজ্ঞাত কারনে প্রায় ঈদের পর থেকে পরিচ্ছন্ন না করায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের এক কিলোমিটার এলাকা এখন পরিনত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে।
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা পর্যটক যাবের হোসেন জানান, তিন দিন হয়েছে কুয়াকাটায় এসেছি। সৈকতের পশ্চিম এবং পূর্ব দিকে যতদূর চোখ যায় শুধু ময়লা আবর্জনা। অনেক স্থানে খাবারের পঁচা অবশিষ্টাংশ পড়ে আছে। এসব খাবার থেকে দুর্ঘন্ধ ভেসে আসছে। এই তিন দিনে কোন পরিচ্ছন্নতা কর্মী চোখে পড়েনি।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়
নারায়নগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক ইসমাইল হোসেন জানান, সৈকতের চারদিকে নোংরা আবর্জনা। বিশেষ করে পূর্ব পাশের বেঞ্চির পিছনে ডাষ্টবিনগুলোর অবস্থা একেবারে খারাপ। চারপাশ যেন ময়লায় সয়লাব। দুর্ঘন্ধে বেঞ্চে বসা দায় হয়ে পড়েছে। এর আগে এতোটা অপিরচ্ছন্ন ছিলোনা। আমরা অন্ততপক্ষে কুয়াকাটা সৈকতটুকু সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখার দাবি জানাচ্ছি।
কুয়াকাটা ফিস ফ্রাই মার্কেটের সাধারন সম্পাদক জামাল হোসেন জানান, ঈদের পর থেকে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পরিচ্ছন্নতার কাজ বন্ধ রেখেছে। যার কারনে উপায় না পেয়ে আমরা একটি ভ্যান ঠিক করে এখানকার ময়লা দুরে ফালাচ্ছি। বিষয়টি আমরা মেয়রকে অবহিত করেছি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম বলেন, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির কোন লোকবল নেই, বিষয়টি কুয়াকাটা মেয়রকে অবহিত করা হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বীচ পরিচ্ছন্ন করা হবে।
এমএল/