দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ: মৌলভীবাজারে কালবৈশাখীর তাণ্ডব ও শিলবৃষ্টি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:২১ অপরাহ্ন, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪


দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ: মৌলভীবাজারে কালবৈশাখীর তাণ্ডব ও শিলবৃষ্টি
ছবি: প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কালবৈশাখীতে প্রায় শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে এবং ক্যাবল ছিঁড়ে গেছে। এতে রাত থেকেই এই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।  


শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে এই কালবৈশাখী তাণ্ডব চালায় একই সাথে শিলা বৃষ্টি হয়েছে।


সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছপালা ভেঙে ঘরের উপরে পরেছে। বিশেষ করে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ শতাধিক বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এছাড়া উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন মিলে প্রায় শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। 


পতনঊষার ইউনিয়নের ময়নুল মিয়া, কুশবা বেগম, লিপি বেগম, রহমান মিয়া, সুফিয়ান মিয়া, কালাম মিয়া, আনু মিয়া, ফখর“ল মিয়াসহ উপজেলার প্রায় শতাধিক বিধ্বস্ত হয়েছে। 


আরও পড়ুন: তীব্র তাপপ্রবাহ চুনারুঘাটে অস্থির জনজীবন, হাসপাতালে রোগীর রেকর্ড


ক্ষতিগ্রস্তরা জনবাণীকে জানান, শুক্রবার রাত তিনটার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে তীব্র শিলা বৃষ্টি হয়। মুহুর্তের মধ্যে আমাদের ঘর একেবারে উড়িয়ে নিয়েছে। আমরা এখন খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছি। আমাদেরকে সহোযোগিতা না করলে আমরা রাস্তায় থাকতে হবে। 


পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান জনবাণীকে বলেন, শুক্রবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে আমর ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণ বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। 


মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্হাপক গোলাম ফারুক মীর জনবাণীকে বলেন, ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি খুঁটি ভেঙে গেছে। অনেক স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। এসব জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে। 


এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জনবাণীকে বলেন, আমার সাথে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক পরিবারের কথা হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দেওয়ার জন্য। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে সহোযোগিতা করা হবে।


এমএল/