ঈদ আনন্দ যেন ভেসে গেছে বন্যার পানিতে

মনজু বিজয় চৌধুরী: মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমা নিয়ে ঈদ উদযাপন করবে সারাদেশের মানুষ। 

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় হাকালুকি এখানে পরিবারের ঈদ আনন্দ যেন ভেসে গেছে বন্যার পানিতে। কেউ কেউ বাস করছেন আশ্রয়কেন্দ্রে আবার অনেকে নিজ বাড়িতে যুদ্ধ করছেন পানির সঙ্গে। 

আনন্দের বারতা নিয়ে আসে ঈদ। ঈদ সবার খুশীর। কথাগুলো চিরন্তন সত্য হলেও অনেক সময় এর ব্যত্যয় ঘটে।

জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টির পানিতে মৌলভীবাজার উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্ট হয়েছে। দেশজুড়ে ঈদের আমেজ বিরাজ করলেও হাকালুকি হাওরপাড়ে ঈদের আমেজ নেই। বন্যায় জনজীবন একেবারে থমকে দাঁড়িয়ে। 

বন্যা সব হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বড়লেখায় হাকালুকিতে কয়েক হাজার পরিবার। ফলে এবারের ঈদ কাটছে আশ্রয়কেন্দ্রে বা অন্যদের ঘরে আশ্রিত হয়ে। অনেকের আবার ভাঙা ঘরে। অর্ধেকেরও বেশি গ্রাম, ভোগান্তিতে আছেন হাজার হাজার মানুষ। এখনও অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন।

বানভাসীরা জানান, ১৫-১৬ দিন ধরে। বন্যার পানি আমার ঘর ডুইবা গেছে। আমরার ঈদ আছে নি। যাও অন্যান্য বছর করতাম এবার তো বন্যায় আমাদের ঈদ আনন্দ হারিয়ে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে এবার ঈদে আর গোশত খাওয়া হবে না। বাড়িতে থাকলে গ্রামের লোকজন কোরবানির গোশত দিত। আশ্রয়কেন্দ্রে কে দেবে?এ পানির মধ্যে কোরবানিইবা কে দেবে?আমার ঘরের ভেতরে কোমর পানি, যা ছিল সব নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে বসতঘরসহ যাবতীয় মালামাল।

বন্যার বিষয় জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করেননি।

আরএক্স/