রাবির আম গাছে হপার পোকার উপদ্রব, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, ২রা মে ২০২৪


রাবির আম গাছে হপার পোকার উপদ্রব, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
ছবি: প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি আমগাছে বাসা বেঁধেছে 'হপার' নামক এক ধরনের পোকা। পোকার আক্রমণে নষ্ট হচ্ছে গাছের কচিপাতা ও আম। গাছ তলায় বসতেও ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাদের দাবি, এ অবস্থার উত্তরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।


হপার পোকার বিষয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. সাইফুল ইসলাম বলেন, সাধারণত রৌদ্রের সময় এগুলো আম গাছের গুড়ির বাকলের ভাঁজে আশ্রয় নেই। সংখ্যা বেশি হলে ক্লাস্টার মতো দেখায়। আম ফড়িং হিসেবে এরা পরিচিত। এরা আম গাছের কচি পাতা, মুকুল ও ফলের ক্ষতি করে থাকে।


পোকার উপদ্রবে সৃষ্ট ভোগান্তির বিষয়ে নাইমা জান্নাত নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রশাসনের অবহেলার কারণেই এসব পোকার উপদ্রব বেড়েছে। যদি প্রশাসন সময়মতো কীটনাশক ব্যাবহার করতো, তাহলে আজকে আমাদের এরকম ভোগান্তির শিকার হতে হতো না। যেখানেই বসি, সেখানেই এই পোকা গায়ে ছুটে আসে এবং কামড়াতে থাকে। 


আরও পড়ুন: কেউ থাকছে হলে, কেউ ফিরছে বাড়িতে


ইশতিয়াক আহমেদ হীরা নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বসলেই আমাদের শরীরে উড়ে এসে বসতে থাকে। এটা খুবই বিরক্তিকর। এমনকি চা খাওয়ার সময়েও এই পোকা চায়ের কাপে চলে আসে। বিশেষ করে, যেখানে আমগাছ একটু বেশি, সেখানেতো বসায় মুশকিল হয়ে যায়।


স্টুডেন্ট রাইটস এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব বলেন, হপার পোকার উপদ্রব অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে গাছের নিচে বসে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নেওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। বসামাত্রই পোকাগুলো ঘিরে ধরছে। আম গাছগুলোর সঠিকভাবে পরিচর্যা ও কীটনাশক না প্রয়োগ করার ফলে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। এ অবস্থা উত্তরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


পোকার উপদ্রব দমনে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আগে এই গাছগুলো ইজারা দেওয়া হতো। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে এগুলো এখন ইজারা দেওয়া হয়না, যাতে তারা ফলমূল খেতে পারে। যদি পোকার উপদ্রব বেশি দেখি, তাহলে আমরা অবশ্যই করনীয় পদক্ষেপ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করবো, যাতে শিক্ষার্থী ও গাছগুলোর ক্ষতি না হয়।


এমএল/