রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দার কারাগারে


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:২০ অপরাহ্ন, ৯ই মে ২০২৪


রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দার কারাগারে
ফাইল ছবি

'চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর  মিরপুর মডেল থানায় মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেফতারের পর তাকে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছিল আদালত।


বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের মিরপুর মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।


এদিন মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। এসময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।


আরও পড়ুন: রিমান্ডে যা স্বীকার করেছেন মিল্টন সমাদ্দার, জানালেন ডিবি হারুন


এর আগে গেল ২ মে আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। ৩ দিনের রিমান্ড শেষে গত ৫ মে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তখন এ মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।


এছাড়া মানবপাচার আইনের আরেক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোসহ ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ডিবি পুলিশ। ওইদিন শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত আসামির আবারও ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিকে যেসব ভয়াবহ তথ্য দিলেন মিল্টন সমাদ্দার


উল্লেখ্য, গেল ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতা করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।


গ্রেফতার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেফতারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।


জেবি/এসবি