ইউপি সদস্য মা ও খালার সঙ্গে এসএসসি পাস করল সোহান


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:২৪ অপরাহ্ন, ১৩ই মে ২০২৪


ইউপি সদস্য মা ও খালার সঙ্গে এসএসসি পাস করল সোহান
ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের নলডাঙ্গায় মা, ছেলে ও খালা একসাথে এসএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ । মা নাসিমা বেগম ৩.৬৪ জিপিএ, ছেলে সোহান ৩.৯৬ ও খালা হালিমা বেগম ৩.৮৯ জিপিএ পেয়ে পাশ করেছেন।  


রবিবার (১২ মে) এসএসসি (সমমানের) ফল প্রকাশের পর তাদের এমন সাফল্যে পরিবার-পরিজনসহ এলাকাবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন দুই ইউপি সদস্য।


জানা গেছে, মা নাসিমা বেগম ও ছেলে সোহান উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর দিয়ারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খালা হালিমা বেগম একই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দিঘা গ্রামের আব্দর রাজ্জাকের স্ত্রী। মা নাসিমা বেগম বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড ও খালা হালিমা বেগম একই ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য। নাসিমা বেগম ও বোন হালিমা বেগম কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ওমরগাড়ি ফাজিল মাদ্রাসার ভোকেশনাল শাখা থেকে এবং একই শিক্ষাবর্ষে ছেলে সোহান নাটোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এসএসসি (সমমান) পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হলে মা নাসিমা বেগম জিপিএ-৩.৬৪, ছেলে সোহান ৩.৯৬ ও খালা হালিমা ৩.৮৯ পেয়ে কৃতকার্য হন।


আরও পড়ুন: ডিমলায় এক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থী দুই, পাস করেনি কেউ


মা ও খালার সাথে এসএসসি (সমমান) পরীক্ষায় পাস করে বেশ উচ্ছ্বসিত সোহান। সে বলে, আমার সাথে আমার মা ও খালা এসএসসি পাস করায় সত্যিই  আমি অনেক খুশি হয়েছি। অনেকেই আমার সাথে যোগাযোগ করছে এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।


মা নাসিমা বেগম বলেন, আমার অনেক ইচ্ছা ছিল এসএসসি পাস করার। কিন্ত মা-বাবার সংসারে সেই ইচ্ছা পূরণ হয়ে ওঠেনি। পরে আমি আমার সন্তানের পরামর্শে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরই রাজশাহীর পুঠিয়া ওমরগাড়ি ভোকেশনাল মাদ্রাসায় ভর্তি হই। এসএসসি (সমমান) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আজ আমি পাস করেছি, তাই আমি খুব আন্দদিত।


খালা হালিমা বেগম বলেন, আমি আমার স্বামীর পরামর্শে বোন নাসিমার সাথে একই মাদ্রাসার ভোকেশনাল শাখায় ভর্তি হই। দুই বোন এক সাথে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করে আমরা অনেক বেশি খুশি।


আরও পড়ুন: বিদ্যালয়ের একমাত্র পাস করা পরীক্ষার্থী রুবিনা


তিনি বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধি হওয়ায় অনেক সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হতো। সত্যি কথা বলতে গেলে লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই। পাস করার ফলে আমাদের মর্যাদা আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে।


এ বিষয়ে নাটোর জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য বুলবুল আহমেদ বলেন, দুই নারী ইউটি সদস্য আমাদের সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাদের এমন কৃতিত্বকে আমাদের সবার সম্মান করা উচিত। 


উল্লেখ্য, ২০২২ সালে উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দুই বোন নাসিমা বেগম ও হালিমা বেগম ও নাটোরের ছাতনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এক বোনসহ তিন বোন একসাথে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়ে সারাদেশে আলোচনায় ছিলেন।


এমএল/