ভয়ংকর প্রতারণা, জরিমানা গুনলেন সেই তনি

সোশ্যাল  বেশ জনপ্রিয় মুখ ও রাজধানীর গুলশানে ‘সানভীস বাই তনি’ শোরুমের মালিক রুবাইয়াত ফাতিমা তনি। পাকিস্তানি বলে দেশীয় পোশাক চড়া দামে বিক্রি করায় এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করায় তাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রতিষ্ঠানটির মালিক রুবাইয়াত ফাতিমা তনি ভোক্তা অধিদপ্তরে হাজির হয়ে অভিযোগের বিপক্ষে কোনো ধরণের প্রমাণ দেখাতে না পারায় তাকে জরিমানা করা হয়। দেশি থ্রিপিস পাকিস্তানি বলে বিক্রি করার জন্য ৫০ হাজার এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ১২৩.৫২ শতাংশ খাস জমি উদ্ধার

জানা গেছে,  বিষয়টি নিয়ে তনি ও ভুক্তভোগীকে নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের নিজস্ব অফিসে একটি লাইভ অনুষ্ঠান করে। সেখানে তনি জানান, এসব অভিযোগের বিষয়ে অবগত নন তিনি। তার ব্যবসায়িক পেইজে অভিযোগকারী নারী অভিযোগ জানালেও মডারেটররা এটা কখনো গুরুত্ব দেন না এবং পরে গুলশানের পুলিশ প্লাজা মার্কেটে ভোক্তা অধিদপ্তরের একটি নোটিশ আসে। সেটিও তনির সেলসম্যান কোনো গুরুত্ব না দিয়ে ফেলে রাখেন। সোমবার (১৩ মে) গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ‘সানভীস বাই তনি’ প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, প্রতিষ্ঠানটি দেশি থ্রি পিস পাকিস্তানি বলে বিক্রি করতো। সোম্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করতো। তনি এই শুনানিতে অংশগ্রহণ  করে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এই বিষয়ে যথেষ্ঠ সর্তক থাকবেন। এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এই দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে বেশি দামে বিক্রি করে আসছিল। এমনকি তারা অনলাইনে পাকিস্তানি থ্রি পিস বলে বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি থ্রি পিস দেয়।

আরও পড়ুন: গুলিস্তান থেকে এনে পাকিস্তানি বলে ড্রেস বিক্রি করতো ‘সানভীস বাই তনি’

তিনি আরও বলেন, গুলশানের শোরুমের গিয়ে সেটার যথাযথ প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্রের প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স আছে, আর সেটাও সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে। আপাতত ‘সানভীস বাই তনি’ শো-রুম সিলগালা করে দিয়েছি।

এমএল/