সূর্যমূখী চাষে ঝুকছেন নবাবগঞ্জের কৃষকেরা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সূর্যমূখী চাষে ঝুকছেন নবাবগঞ্জের কৃষকেরা

ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে ও আমদানি নির্ভরতা কমাতে এবং দুই ফসলি জমিগুলোকে তিন ফসলে রুপান্তর করতে সরকারের প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের বিনামুল্যে বীজ, সার প্রদান সহ নানা সহযোগীতায় পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে সূর্যমূখী চাষ। 

সুর্যমূখী মানে একটি ফুলের নাম। অনেকেই শখ করে বাসায় কিংবা ছাদে সৌন্দর্যের জন্য টবে লাগিয়ে থাকেন। সবুজের মাঝে যেন একখন্ড হলুদের গাছগুলো দোল খাচ্ছে,ছড়াচ্ছে সৌন্দর্য। বিস্তীর্ণ সবুজের মাঠে হলুদ আর সবুজের মিশেলে বড়ই মহাবিয়াম সূর্যমুখীর এ দৃশ্য। স্বল্পমেয়াদী ফসল হওয়ায় দুই ফসলী জমিতে তিন ফসলীতে রুপান্তরের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। 

কৃষক মো: স্বাধীন মিয়া জানান, ধান চাষ খুব একটা লাভজনক নয়। ধান চাষ করতে যে পরিমান টাকা খরচ হয় সেই টাকার ধান পাওয়া যায় না। তাই অন্যন্যা ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে বেশি লাভের প্রত্যাশা করছেন তারা। সূর্যমুখী ফুলের চাষ করলে ফুল থেকে তৈল,খৈল ও জ্বালানী পাওয়া যায়। প্রতি কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে আধা লিটার তৈল উৎপাদন সম্ভব। প্রতি বিঘা জমিতে ৭ মন থেকে ১০ মন বীজ উৎপাদন হয়। প্রতি লিটার তেলের সর্বনিম্ন বাজার মূল্য ২৫০ টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় সর্বোচ্চ সাড়ে তিন হাজার টাকা।

কৃষি অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জনবাণীকে জানান, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। এর আগে কৃষকদের সূর্যমুখী ফুল চাষে তেমন একটা আগ্রহ ছিল না। এবার কৃষি অফিসের উদ্বুদ্ধকরণে নবাবগঞ্জে কৃষক সূর্যমুখী চাষ করেছেন।

এসএ/