ঘূর্ণিঝড়ের সময় মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তেন


Janobani

ইসলাম ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭:২২ অপরাহ্ন, ২৫শে মে ২০২৪


ঘূর্ণিঝড়ের সময় মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তেন
ছবি: সংগৃহীত

প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। ‘রেমাল’ মোকাবিলায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে এবং বিশেষ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। 


তাই তো ঘূর্ণিঝড় রেমালের ভয়ে উপকূলীয়বাসী আতঙ্কগ্রস্থ। আসুন আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হই এবং মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি আর আশ্রয় কেন্দ্রে বা নিরাপদ স্থানে অবস্থান করি। 


নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ সর্বশক্তিমান। সুরা মুলকের ২নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’


আরও পড়ুন: ইসলামি বিধান অনুযায়ী যে বয়সে সন্তানের বিছানা আলাদা জরুরি


সুরা রুমের ৪১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘জলে-স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল।’ অর্থাৎ আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী এরূপ পরীক্ষা ও বিপদ-আপদ আসে মানুষের গোনাহের কারণে। তাই যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে হতাশ না হয়ে বরং নিজের গোনাহের জন্য আল্লাহর কাছে তাওবা করা ও বেশি বেশি তাকে স্মরণ করা।


প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিপর্যয় ও প্রতিকূল অবস্থায় রাসুল (সা.) খুব বিচলিত হয়ে পড়তেন এবং আল্লাহর শাস্তির ভয় করতেন। এ সময় তিনি তওবা-ইস্তেগফার-নামাজে মশগুল হতেন ও তার সাহাবাদেরও বেশি বেশি তা করার নির্দেশ দিতেন।


এ জন্য ঘূর্ণিঝড় মোখার সময়ও আমাদের এ আমলগুলোর প্রতি যত্নবান হতে হবে। বিশেষত অতীতের সব গোনাহ ও ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করে নিতে হবে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে রাসুল (সা.) কয়েকটি দোয়া শিখিয়েছেন।  


আরও পড়ুন: বজ্রপাত থেকে বাঁচতে যে দোয়া পড়তেন বিশ্বনবী (সা.)


জোরে বাতাস প্রবাহিত হলে দোয়া


‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা’


অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর কল্যাণটাই কামনা করি। এবং আপনার কাছে এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই। (আবু দাউদ ৪/৩২৬, হাদিস : ৫০৯৯)


গর্জনের সময় দোয়া


‘সুবহানাল্লাজি ইউসাব্বিহুর রা`দু বিহামদিহি ওয়াল মালাইকাতু মিন খিফাতিহি’


অর্থ: পাক-পবিত্র সেই মহান সত্তা—তার প্রশংসা পাঠ করে বজ্র এবং সব ফেরেশতা।


হজরত আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা.) যখন মেঘের গর্জন শুনতেন, তখন কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং পবিত্র কোরআনের ওপরের এই আয়াতটি তিলাওয়াত করতেন।


ঝড়-বাতাসের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষা পেতে দোয়া


‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরা মা ফিহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি’।


অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি এর কল্যাণ, এর মধ্যকার কল্যাণ এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে নিহিত অনিষ্ট থেকে এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে। (বুখারি, ৪/৭৬, হাদিস : ৩২০৬ ও ৪৮২৯)।


জেবি/আজুবা