সেন্টমার্টিনে বেড়েছে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:০৯ অপরাহ্ন, ২৬শে মে ২০২৪


সেন্টমার্টিনে বেড়েছে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া
ছবি: প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় রিমাল শক্তি বাড়িয়ে দ্রুত এগিয়ে আসছে উপকূলের দিকে। এর প্রভাবে ক্সবাজারের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বাতাস-বৃষ্টি। সাগরের বেড়েছে পানির উচ্চতাও। 


রবিবার (২৬ মে) সকাল থেকেই দমকা হাওয়া বইছে সেন্টমার্টিনে। মাঝারি বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। জোয়ার হওয়ায় ঢেউ বেড়েছে। এতে শঙ্কা বাড়ছে দ্বীপের ৯ হাজার মানুষের। কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায়ও শুরু হয়েছে বৃষ্টি।


এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে শুরু করেছে। ঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এতে স্থানীয় প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দ্বীপে আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল-মোটেলে নিরাপদ সরিয়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: কক্সবাজারের আকাশে রোদ-মেঘের খেলা, বেড়েছে সাগরের পানির উচ্চতা


এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামাল বলেন, ‘সকাল থেকে দ্বীপে বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতির তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি জোয়ারের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আমরা দ্বীপের লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে যেতে মাইকিং করছি। কিন্তু এখনো কোন মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে যায়নি।' 


দ্বীপের বাসিন্দা মো. জয়নাল জানান, 'অনেক বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। যার কারনে এখানকার বসবাসকারীরা বেশ ভয়ের মধ্য আছে। 


সেন্টমার্টিন দ্বীপে বসবাসরত জসিম উদ্দীন শোভন জানান, রবিবার সকাল ১০টার পর থেকে প্রচণ্ড বেগে দমকা হাওয়া বইয়ে যাচ্ছে। আর একইসঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।


আরও পড়ুন: নিম্নচাপের প্রভাবে টেকনাফে বইছে বাতাস-বৃষ্টি


এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফকাত আলী বলেন, ‘সকাল থেকে সেন্টমার্টিনে থেমে থেমে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দ্বীপের বাসিন্দাদের হাসপাতালসহ হোটেল-মোটেল ও আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে মাইকিং চলছে। সাগরের মাঝখানে হওয়ায় আমরা প্রবাল দ্বীপকে বিশেষ গুরুত দিচ্ছি। সেখানে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।'


এমএল/