মায়ের সামনে সন্তান পুড়ে ছাই


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:৪২ অপরাহ্ন, ৪ঠা জুন ২০২৪


মায়ের সামনে সন্তান পুড়ে ছাই
ছবি: জনবাণী

বরগুনার তালতলীতে বসতঘরে আগুন লেগে মায়ের সামনে পুড়ে জুনায়েদ (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. জাবের (১৫) দগ্ধ হয়েছেন।


সোমবার (৩ জুন) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের বড় অঙ্কুজান পাড়া গ্রামে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত মো. জুনায়েদ ও আহত মো. জাবের একই গ্রামের কালাম গাজীর ছেলে।


ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ৮ টার দিকে কালাম গাজীর বসতঘরে আগুন লাগে। মূহুর্তে তা পুরো বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। তখন ঘরে মো. জুনায়েদ ও মো. জাবের দুই ভাই ঘুমিয়ে ছিল। আগুনের তাপে মো. জাবের ঘর থেকে দগ্ধ অবস্থায় বের হয়ে আসেন। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে কালাম গাজীর ৬ বছর বয়সী ছেলে মো. জুনায়েদ এর পোড়া লাশ উদ্ধার করে। 


আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে অগ্নিকাণ্ডে কৃষকের ৮ গরুসহ ১১ ছাগল পুড়ে ছাই


নিহতের মা কুলছুম বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর পর থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরে কুপি জ্বালিয়ে রেখে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে যাই। এসময় ঘরে জুনায়েদ ও জাবের ঘুমানো ছিল। কিছুক্ষণ পরে ঘরে আগুন দেখতে পাই।

 

প্রত্যক্ষদর্শী বেল্লাল হোসেন বলেন, আগুন লাগার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই কিন্তু তারা আসতে গাফিলতি করে ১০ মিনিটের পথ তারা আসছে দেড় ঘণ্টা পর। ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণেই শিশুটি মারা গেছে। সঠিক সময়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসলে শিশুটি মারা যেত না।


তালতলী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বদিউজ্জামান বলেন, আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে রওয়ানা হলেও তালতলী শহরে দুটি নির্বাচনী পথসভা থাকায় সড়কে জ্যাম ছিল তাই আমাদের যেতে বিলম্ব হয়েছে। 


আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা


তিনি আরও বলেন, আমরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। এসময় একটি দগ্ধ শিশুর মরাদেহ উদ্ধার করা হয়।


তালতলী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আমরা সহায়তা প্রদান করবো।


এমএল/