সবাইকে ‘হাই’ বলার দিন আজ

ছোট্ট এই শব্দটি কারও দিন উন্নত করতে পারে, তাদের মুখে হাসি আনতে পারে বা তাদের মেজাজ পরিবর্তন করতে পারে
বিজ্ঞাপন
প্রতিদিনই প্রত্যেক মানুষকে অসংখ্য মানুষের সাথে 'হাই' বলে কুশল বিনিময় করতে হয়। চলার পথ থেকে শুরু করে অফিসে, বাজারে বিভিন্ন জায়গায় পরিচিত-অপরিচিত বহু মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে হয়। তাহলে আজ কেন বিশেষভাবে সবাইকে হাই বলতে হবে! আজ দিনটিকে বিশেষ এক মানুষের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে। যিনি তার সঙ্গে দেখা হওয়া মাত্র সবাইকে হাসিমুখে হাই বলতেন।
এই দিনটি জোসেফ অ্যান্টনি সিনোত্তির স্মরণে উদযাপিত হয়। জোসেফ ছিলেন একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোর। মাত্র ১৫ বছর বয়সে আজকের দিনেই মারা যান তিনি। জোসেফ সারাজীবনে তার সঙ্গে দেখা হওয়া সবাইকে অভিবাদন জানানোর অভ্যাস করে তুলেছিলেন। তার উচ্ছ্বসিত ব্যক্তিত্ব তাকে সবার কাছে পছন্দের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছিল।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: আজ ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ দিবস
বিজ্ঞাপন
‘হাই ডে’ হলো একটি জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান যার উদ্দেশ্য হল মানুষকে মনে করিয়ে দেওয়া যে একটি সাধারণ শব্দ কারও দিনকে উন্নত করতে পারে, তাদের মুখে হাসি আনতে পারে বা তাদের মেজাজ পরিবর্তন করতে পারে। একটি সাধারণ স্বাগত ইতিবাচক দিক তৈরি করতে পারে মানুষের মধ্যে।
হাই অর্থ ‘ওহে!’ একটি অভিবাদন বিস্ময়বোধক হিসেবে ব্যবহৃত একটি ইন্টারজেকশন। মনোযোগ আকর্ষণের জন্য এই শব্দটি ব্যবহার শুরু হয়েছিল ১৮৬২ সালে। এটি ২০ শতকের প্রথম দিকে একটি অভিবাদন শব্দ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। জোসেফ অ্যান্থনি সিনোটি, একজন ১৫ বছর বয়সী যুবক, সে হাই ডে-এর পেছনে অনুপ্রেরণা। জোসেফ তার পুরো জীবন কাটিয়েছেন অন্যদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
২০১৮ সালে মারা যান তিনি। তার স্মরণে ১১ জুন, ২০২১ সাল থেকে হাই ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রথম ‘ছে হাই ডে’ পালিত হয়। ছোট্ট এই শব্দটি কারও দিন উন্নত করতে পারে, তাদের মুখে হাসি আনতে পারে বা তাদের মেজাজ পরিবর্তন করতে পারে। এই দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত, নথিভুক্ত এবং স্বীকৃতি দিয়েছে জাতীয় দিবস আর্কাইভ।
কমিউনিটি সেফটি অ্যান্ড ক্রাইম প্রিভেনশন কাউন্সিল অব ওয়াটারলু অঞ্চলের সে হাই ডে টুডে প্রোগ্রামটি ২০০৪ সালে গেট কানেক্টেড ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে শুরু হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। সূত্র: ন্যাশনাল টুডে
বিজ্ঞাপন
জেবি/আজুবা








