যারা পশুর চড়া দাম হাঁকাচ্ছে তাদের মাথায় হাত পড়তে বাধ্য: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৮ অপরাহ্ন, ১৩ই জুন ২০২৪

যারা কৌশলে কোরবানির পশুর চড়া দাম হাঁকাচ্ছে তাদের মাথায় হাত পড়তে বাধ্য বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বাংলাদেশে কোরবানির পশু উৎপাদন বিষয়ে সাংবাদিকদদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় পশু সরবরাহ বেশি আছে। কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা এক কোটি ৭ লাখ। গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ সব মিলিয়ে। সেখানে আমাদের প্রস্তুত আছে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ। কোরবানির অনেক পশু বাড়তি রয়েছে।
বাজারে এখন কোরবানির গরুর যে দাম চাওয়া যাচ্ছে, তাতে প্রতিকেজি মাংসের দাম এক হাজার টাকা পড়ে যাচ্ছে। তাহলে কোরবানির পশু বাড়তি থেকে লাভ কী? এমন প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, এই পরিসংখ্যান আপনি কোথায় পেলেন?
তখন ওই সাংবাদিক বলেন, যারা বিক্রি করছে এবং যারা কিনছেন তারা জানাচ্ছে। এ সময় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আপনি এতো ডিটেইলসে গেলেন; কী পরীক্ষায় বা কোনভাবে আপনি জানতে পারলেন?
এর প্রেক্ষিতে আরেকজন সাংবাদিক বলেন, মাননীয় মন্ত্রী লাইভ ওয়েটে সাড়ে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। একটা গরুর প্রায় ৬০ শতাংশ বাদ যায়। সে হিসাবে যদি আপনি দাম ধরেন কেজি এক হাজার টাকার ওপরে হয়ে যায়।
উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বাজারে যে কোনো পণ্যের দাম নির্ধারিত হয় চাহিদা এবং সরবরাহের ওপরে। আমার দায়িত্ব হলো প্রয়োজনের তুলনায় সেই সরবরাহ আছে কি না তা নিশ্চিত করা। আমি তো পরিসংখ্যান দিলাম। আরও ২২ লাখ পশু উদ্বৃত্ত আছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে হয় তো কেউ নানাভাবে হ্যাল্ডেলিং করে গরুর দাম বাড়াতে পারে। চড়া দাম হাঁকাতে পারে। কিন্তু দিন শেষে ওদের মাথায় হাত পড়বে। কারণ আমার তো গরুর যোগান আছে। যারা কৌশলে বা নানা ছলচাতুরির মাধ্যমে দাম হাঁকাচ্ছে ওদের মাথায় হাত পড়তে বাধ্য।
আরও পড়ুন: ‘প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য সেক্টরের উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়’
মন্ত্রী আরও বলেন, দাম নির্ধারণ করার দায়িত্ব আমার না। দাম নির্ধারণ করবে বাজার। আমরা সাধারণত অর্থনীতির সংজ্ঞায় বুঝি সরবরাহ ও চাহিদার যদি সমন্বয় থাকে সে ক্ষেত্রে বাজরই বাজারমূল্য নির্ধারণ করে। আমি কিভাবে বাজার মূল্য নির্ধারণ করবো।
ডিমের দাম বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে আব্দুর রহমান বলেন, আমরা যখন তাদের (খামারি) সঙ্গে বসি, তারা একটা অজুহাত দেয় খাদ্য শস্যের দাম বেশি। আমদানি করতে হয়। আমি আমার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটা বৈঠক করবো। তাদের এই অজুহাত কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য না। প্রয়োজনে আমরা তাদের সঙ্গে আবার বসে তাদের একটা ডিমের জন্য কতো খরচ হয় এবং লাভ কতো করতে হয়, তারপর দাম নির্ধারণ করবো। এই ব্যাপারে নিশ্চয় আমাদের নজরদারি থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর প্রমুখ।
জেবি/এজে