আনার হত্যায় আর্থিক সংশ্লিষ্টতা ছিল মিন্টুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪০ অপরাহ্ন, ১৩ই জুন ২০২৪
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেফতার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর আর্থিক সংশ্লিষ্টতার ছিলো বলে জানিয়েছে ডিবি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে মিন্টুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ দেন।
এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারি পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, বহুল আলোচিত এমপি আনার অপহরণ মামলার অন্যতম আসামি শিমুল ভুইয়া আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তাতে আসামি সাইদুল করিম মিন্টুর সংশ্লিষ্টতার কথা রয়েছে। জবানবন্দিতে ভিকটিমকে প্রলুব্ধ করে অপহরণ তথা হত্যা সংশ্লিষ্টতার সাথে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্তে সাইদুল করিম মিন্টুর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এ সংক্রান্তে বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে থাকা আসামি কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু আনার অপহরণ সংক্রান্তে সাইদুল করিম মিন্টুর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের নেতা মিন্টু ৮ দিনের রিমান্ডে
শিমুল ভূইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, গত ৫/৬ মে এমপি আনারকে প্রলুব্ধ করে অপহরণ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহিন সাইদুল করিম মিন্টুর সাথে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে এবং এমপি আনার হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সাপেক্ষে আর্থিক লেনদেনের কথা বলে। পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদরত গ্যাস বাবু আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের পরে ঘাতক দলের প্রধান শিমুল ভুঁইয়ার সাথে সে প্রতিশ্রুত টাকা লেনদেনের বিষয়ে ডিজিটালি এবং ফিজিক্যালি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং অপহরণ ও হত্যাকান্ডের প্রমাণস্বরূপ ছবি আদান প্রদান করেন। গত ২৩ মে মিন্টুর কাছ থেকে পাওয়া শিমুল ভুইয়ার দাবি করা টাকার আংশিক তার মাধ্যমে ঘাতক শিমুল ভুইয়াকে দেওয়ার কথা ছিল। এসব তথ্যের ভিত্তিতে গত ১২ জুন রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মহানগরস্থ ধানমন্ডি থানাধীন জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল এলাকা হতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে সাইদুল করিম মিন্টকেকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে তিনটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: আদালতে আ. লীগ নেতা মিন্টু, ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন
মামলার ঘটনার সাথে মিন্টুর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে একেক সময় একেক রকম তথ্য প্রদান করছে। ঘটনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ মিন্টুর ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা তথা হত্যাকাণ্ড পরিকল্পনার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা উদঘাটন এবং অজ্ঞাতনামা পরিকল্পনাকারীদের সনাক্তকরণ, গ্রেফতার, সঠিক নাম ঠিকানা সংগ্রহের জন্য তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
জেবি/এসবি