হাসপাতালে কেমন আছেন খালেদা জিয়া, জানালেন চিকিৎসক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৮ অপরাহ্ন, ২২শে জুন ২০২৪

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা চলছে।
শনিবার (২২ জুন) সকাল ১০টা ৩০ মিনিট বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে। মেডিকেল বোর্ড সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। আপাতত এর বেশি কিছু বলার নেই। আপনারা দোয়া করবেন এবং আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।
অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ বলেছেন, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তির পর এই মেডিকেল বোর্ড কয়েক দফা বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: হাসিনা-মোদি বৈঠকে ১০ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়।
এ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই বোর্ডে অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিনসহ ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। এছাড়া লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ চিকিৎসক জোবায়েদা রহমানসহ যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই বোর্ডে যুক্ত আছেন।
অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ বলেছেন, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তির পর এই মেডিকেল বোর্ড কয়েক দফা বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: ছাগলকাণ্ডের সেই ইফাত মাকে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন
সর্বশেষ গত ২ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে আসেন। ওই সময় চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে রেখে দুইদিন চিকিৎসা দেন।
এর আগের মাসেও ২ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতা নিয়ে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাই কোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর।
এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আবারও অবস্থার অবনতি, মধ্যরাতে হাসপাতালে খালেদা জিয়া
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য।
ওই বছরের ২৫ মার্চ মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে নিজ বাড়িতে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এমএল/