যেসব নারীকে বিয়ে করা ইসলামে হারাম
ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, ৬ই জুলাই ২০২৪
মহান আল্লাহ তায়ালা বিয়েকে মুসলমানদের ওপর হালাল করেছেন। সেই সঙ্গে হারাম করেছেন জেনাকে। একজন পুরুষ ও একজন নারীর মধ্যে ইসলাম নির্দেশিত বৈধ উপায়ে সম্পর্কের মধ্য দিয়ে বংশ বৃদ্ধির বৈবাহিক সভ্যতা গড়ে ওঠে মুসলমানের। তবে যে কাউকে বিয়ে করার বিধান ইসলামে নেই।
পাপাচার থেকে মুক্ত হয়ে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করার জন্য আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের ওপর এ বিধান দিয়েছেন। এটা আল্লাহ তাআলার একটা গুরুত্বপূর্ণ নীতি। এ ছাড়া বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবন গঠন করা নবীদেরও সুন্নত। ইসলাম মানবজাতির সভ্যতা ও আদর্শ রক্ষায় একজন পুরুষকে ১৪ নারীর যে কারোর সঙ্গে বিয়ে করতে নিষেধ করেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এই ১৪ নারীর কারোর সঙ্গে একজন পুরুষের বিয়ে হারাম ও অবৈধ।
আরও পড়ুন: ভিক্ষুকের সালামের উত্তর দেওয়া নিয়ে যা বলছে ইসলাম
পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ২৩ থেকে ২৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ ১৪ জন নারীকে একজন পুরুষের জন্য বিবাহ করা হারাম ঘোষণা করেছেন।
এই ১৪ জন নারী হলেন:
১. নিজের মা;
২. নিজের মেয়ে, ছেলের মেয়ে, মেয়ের মেয়ে ও তাদের গর্ভজাত কন্যাসন্তান;
৩. দাদি, নানি ও তাদের ওপরের সবাই;
৪. সহোদর, বৈমাত্রেয় (সৎমায়ের মেয়ে) ও বৈপিত্রেয় (সৎবাবার মেয়ে) বোন;
৫. বাবার সহোদর বোন এবং বাবার বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন (ফুপু);
৬. যে স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক মিলন হয়েছে, তার পূর্ববর্তী বা পরবর্তী স্বামীর ঔরসজাত কন্যাসন্তান, স্ত্রীর আপন মা, নানিশাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ি;
আরও পড়ুন: মদের বোতলে পানি পান করা কি জায়েজ?
৭. মায়ের সহোদর বোন এবং মায়ের বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন (খালা);
৮. ভাতিজি অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ে ও তাদের পরের প্রজন্মের কন্যাসন্তানরা;
৯. ভাগনি অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে ও তাদের পরের প্রজন্মের কন্যাসন্তানেরা;
১০. দুধমেয়ে (স্ত্রীর দুধ পান করেছে এমন), সেই মেয়ের মেয়ে, দুধছেলের মেয়ে ও তাদের পরের প্রজন্মের কোনো কন্যাসন্তান এবং দুধছেলের স্ত্রী;
১১. দুধ মা এবং তার দিকের খালা, ফুপু, নানি, দাদি ও তাদের ঊর্ধ্বতন নারীরা;
১২. দুধবোন, দুধবোনের মেয়ে, দুধভাইয়ের মেয়ে এবং তাদের গর্ভজাত যেকোনো কন্যাসন্তান। অর্থাৎ, দুধ সম্পর্ককে রক্তসম্পর্কের মতোই গণ্য করতে হবে;
১৩. ছেলের স্ত্রী;
১৪. অন্যের বৈধ স্ত্রীকে বিবাহ করা হারাম।
জেবি/আজুবা