কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর বলপ্রয়োগ করবেন না: খোকন


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৫০ অপরাহ্ন, ১৪ই জুলাই ২০২৪


কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর বলপ্রয়োগ করবেন না: খোকন
ছবি: সংগৃহীত

কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর বলপ্রয়োগ না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।


রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।


আরও পড়ুন: সরকার চাইলে কোটা পরিবর্তন-পরিবর্ধন করতে পারবে: হাইকোর্ট


মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কোটাবিরোধীরা। আন্দোলন করা সাংবিধানিক অধিকার। তাই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশ লেলিয়ে দেবেন না, বলপ্রয়োগ করবেন না।


এ সময় বিসিএস পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠনের দাবি জানান সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি।


এদিকে, কোটা বাতিলের দাবিতে টানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সবশেষ রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে এনিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।


উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।


ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটাপদ্ধতি বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।


আরও পড়ুন: ব্যারিকেড ভেঙে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে শাহবাগে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা


এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামেন।


টাকা কয়েকদিন আন্দোলনের পর গত ৯ জুলাই কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। পরেরদিন হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে। তবে শিক্ষার্থীরা আপিল বিভাগের এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।


জেবি/এজে