অবৈধ সম্পদ দান নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা.)


Janobani

ইসলাম ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭:০০ অপরাহ্ন, ১৪ই জুলাই ২০২৪


অবৈধ সম্পদ দান নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা.)
ছবি: প্রতীকী

ইসলাম পরিপূর্ণ এক জীবন ব্যবস্থার নাম। এতে মানবজীবনের ব্যক্তিগত পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের যাবতীয় বিষয়ের সমাধানে হিকমতপূর্ণ বিধানের বর্ণনা রয়েছে।


ইসলামে অবৈধ উপায়ে সম্পদ উপার্জন করা হারাম। উপার্জিত হারাম সম্পদ উপার্জনকারীর ইহকাল ও পরকালের কোনো উপকারেই আসে না। এমনকি হারাম অর্থের দান যেমনি আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না তেমনি হারাম উপার্জনের অর্থ রেখে মারা গেলেও সে সম্পদ হবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির পূঁজি।


আরও পড়ুন: ৯৯ রোগ থেকে মুক্তি পেতে যে দোয়া পাঠ করবেন


এ কারণেই নবী করিম (সা:) বলেছেন, কেয়ামতের দিন প্রত্যেক মানুষকেই জিজ্ঞাসা করা হবে যে, সে কিভাবে সম্পদ অর্জন করছে। অর্জিত সম্পদ বৈধ না অবৈধ উপায়ে উপার্জিত, সে হিসাব দিতে হবে। হিসাব দেয়ার আগে কোনো বান্দাকেই এক কদমও নড়তে দেয়া হবে না।


সুতরাং অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জন করা থেকে বিরত রাখতে হবে  নিজেদের। আর অবৈধ উপায়ে অর্জিত হারাম সম্পদ মানুষের কোনো উপকারে আসবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রিয়নবি। হাদিসে এসেছে-


হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোনো বান্দা হারাম পদ্ধতিতে উপার্জিত অর্থ দান খয়রাত করলে তা কবুল হবে না এবং তা নিজ কাজে ব্যয় করলে বরকত হবে না। আর ঐ ধন তার উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে গেলে তা তার দোজখের পুঁজি হবে।’ (মিশকাত)


আরও পড়ুন: লোক দেখানো নামাজ পড়া নিয়ে যা বলছে ইসলাম


উপরোক্ত হাদিসের আলোকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে-


- হারাম সম্পদ থেকে দান করা যাবে না। দান করলেও তা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।

- হারাম সম্পদ নিজ কাজে ব্যয় করলেও তাতে বরকত হবে না।

- উত্তরাধিকারদের জন্য রেখে গেলেও তা হবে তার জন্য জাহান্নামের জ্বালানি।


প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের ওপর আমল করে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন থেকে বিরত থাকলে মানুষের দুনিয়া ও পরকালের প্রতিটি কাজে আসবে সফলতা।


আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হালাল উপার্জনের মাধ্যমে দুনিয়ার স্বচ্ছলতা ও পরকালের সফলতা দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


জেবি/আজুবা