গাইবান্ধায় কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ, শহর রণক্ষেত্রে পরিণীত
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৪১ অপরাহ্ন, ১৭ই জুলাই ২০২৪
অবরোধকারীদের সাথে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে পুলিশ-সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
বুধবার (১৭জুলাই) সকাল ১১ টায় কোটা আন্দোলনকারীরা ডিসি অফিসের দিক থেকে মিছিল নিয়ে গাইবান্ধা জেলা শহর প্রদক্ষিণ করে। গাইবান্ধা শহরের ট্রাফিক মোড়ের সামনে আসলে সংঘর্ষের ঘটনা শুরু হয়।
এতে আহত হন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক, সহসভাপতি শাহ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মন্ডল, মেয়র মতলুবর রহমান, শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সহ-সভাপতি আবু সাইদ, গাইবান্ধা সরকারি কলেজের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনসহ আরোও অনেকেই আহত হন। তাদের দেখতে, এমপি শাহ সারোয়ার কবির জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং আওয়ামীলীগ অফিস পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল-গায়েবানা জানাযা
এছাড়াও একজন পুলিশসহ আহত হন দু'জন গণমাধ্যমকর্মী সবাই গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
অন্যদিকে চলমান সংঘর্ষের মধ্যেই ১নং রেলগেট ২ নং রেলগেট ঘন্টাব্যাপী অবরোধ্য থাকে, রাস্তা যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়, আওয়ামীলীগ অফিস ভাংচুর, ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন, খবর পেয়ে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রেলওয়ে ষ্টেশন অবরুদ্ধ করলে পুলিশ ধাওয়া করে টিয়াসেল-রাবার বুলেট ছুড়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আতংক ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরে এর কিছুক্ষণ পরেই পাল্টা হামলা চালিয়ে গাইবান্ধা জেলা বিএনপি অফিস ভাংচুরঅগ্নি সংযোগ চালায় ছাত্রলীগসহ, আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা, পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা সটকে পড়ে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রাকের সংঘর্ষে ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলা কোটা আন্দোলনে বিভিন্ন বামপন্থী দলকে অংশ গ্রহন করতে দেখা গেলেও গণমাধ্যমের সামনে কেউই আসেননি, সেই সাথে কিছু সংখ্যক আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন করলেও তার সঠিক উওর দিতে পারেনি। একই সাথে গাইবান্ধা জেলা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কে গণমাধ্যমের সামনে দেখা মেলেনি ।
আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে গেলে ১ সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি হলেন, আমাদের নুতন সময়ের জেলা প্রতিনিধি আতোয়ার রহমান (রানা), অপরজন কোটা আন্দোলনকারী ফেস্টুন ব্যানার ভাংচুর করার সময় আঘাত পান অপু রোমিও নামে আরেক গণমাধ্যমকর্মী।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এমএল/