‘কক্সবাজারে ডিসি, এসপি অফিস, থানা, বিমান সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল’
মো. রুবেল হোসেন
প্রকাশ: ০৭:০২ অপরাহ্ন, ২৪শে জুলাই ২০২৪
কোটা আন্দোলনের নামে কক্সবাজারে ডিসি, এসপি অফিস, সদর থানা, বিমানবন্দর সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আগুনে পুঁড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। এমনকি কক্সবাজার জেলা কারাগারেও নাশকতার ছক তৈরি করেছিল চক্রটি। এমন পরিকল্পনার প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিকাল ৩ টায় কক্সবাজার পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক কথা বলেছেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, কক্সবাজারে সংঘটিত নাশকতার সাথে শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিলো না। বিএনপি-জামায়াত শিবিরের লোকজন পরিকল্পিতভাবে নাশকতা করেছে। এরা আওয়ামীলীগ, জাসদ, জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাংচুর, ছাত্রলীগ নেতা রাজীবকে হাত কেটে দেয়ার চেষ্টা করা হয় ১৬ জুলাই। তারপরের দিন সন্ধ্যার পর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে তারা। এরপর ডিসি অফিস, সদর থানা, বিমান বন্দর ও এসপি অফিসে এক যোগে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। এ পরিকল্পনার সময় জেলা কারাগারে হামলার ছকও তৈরি করেছিল তারা। এর জন্য জেলার লোক ছাড়াও বহিরাগতদের আনা হয়েছিল। মুলত ১৭ ও ১৮ জুলাই ২ দিন এমন চেষ্টার তথ্য প্রমাণ রয়েছে।
১৭ ও ১৮ জুলাই দুইদিনের আন্দোলনের পক্ষের মিছিলের বর্ণণা দিয়ে হুইপ বলেন, দুই দিনই মিছিলটি সারাদিন লিংক রোড, বাস টার্মিনাল, আলী জাহান, রুমালিয়ারছড়া, টেকপাড়া, বাজারঘাটা এলাকায় ঘুরতে থাকে। সন্ধ্যার পর পশ্চিম দিকে অগ্রসরের চেষ্টা করেছিল। যদিও দলীয় নেতা-কর্মী, জনগণ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিরোধে তা সম্ভব হয়নি। ফলে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
এসব আন্দোলনে সরকারের অনুমোদনহীন কিছু মিডিয়ার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে কমল বলেন, এটা খুবই দু:খজনক।
আন্দোলনের নামের নাশকতাকারি কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, প্রশাসনকে বলা হয়েছে ঘটনার ভিডিও, ছবি, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে জেলা নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি ঘোষণা করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে এই কমিটি গঠণ করা হবে। নাশকতা প্রতিরোধে এমন কমিটি। এটা কক্সবাজারের ১৪ দলীয় ঐক্যজোটের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে আহবায়ক করা হয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছারকে। সদস্য সচিব করা হয়েছে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীকে। এই কমিটির নানা পদে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাবেক-বর্তমান ছাত্রনেতা, জাসদ নেতা, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রয়েছেন।একই সঙ্গে ৩০ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠণ করা হয়েছে।
জেবি/এসবি