ঝুপড়ি ঘরে আকাব্বর নিলুফার দম্পতির মানবেতর জীবন যাপন


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:০১ অপরাহ্ন, ২রা আগস্ট ২০২৪


ঝুপড়ি ঘরে আকাব্বর নিলুফার দম্পতির মানবেতর জীবন যাপন
ছবি: প্রতিনিধি

স্বাভাবিক জমিন থেকে একটু উঁচু ভিটার উপর বাসের টুকরা ও গাছের খুঁটির উপর চটের ছাউনি। বাতাসে উড়িয়ে নেওয়া থেকে বাঁচাতে নারিকেলর পাতা ও রশি দিয়ে বেঁধে রেখেছে। এগুলোর উপর রাখা হয়েছে ইট। (বান-তুফান) বন্যার কবল থেকে মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকু রক্ষার জন্য এত আয়োজন। স্ত্রী ও সন্তানের মুখে দুবেলা দু’মুঠো খাবার আর পরনের কাপড় জোগাতেও তার হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্ত্রী ও শিশু সন্তান নিয়ে রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘরে দিন কাটছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের গহিনখালী গ্রামের হতদরিদ্র আকাব্বার আলী(৮০) পুত্র তামিম ও নিলুফা বেগমের সংসার।


আরও পড়ুন: বৃদ্ধ বাবা-মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমে দিতে হবে না: দীপু মনি


আকাব্বার আলী বয়োবৃদ্ধো হওয়ার কারণে কোন কাজ করতে পারেন না । রাস্তার ঢালে সবজি চাষ করে সেই সবজি উপজেলা সদরে বিক্রি করে কোনমতে চলে তাদের সংসার। হতদরিদ্র এ দম্পতির জীবন চলে খুবই কষ্টের মধ্য দিয়ে। থাকার জায়গাটি দেখলেই মনে হয় এখানে মানুষ থাকেন না। ঝুপড়ি ঘরেই তারা মানবেতর জীবন যাপন করে আসছেন।


আকাব্বার আলী বলেন, স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করতেছি। বৃষ্টির সময় বৃষ্টি পড়ে যখন রোদ হয় তখন থাকতে পারিনা প্রচুর তাপ লাগে। খুব কষ্ট করে জীবন যাপন করতেছি। যদি সরকার আমাদের মুখের দিকে তাকায় তাহলে এই স্ত্রী সন্তান নিয়ে জীবনের শেষ সময়টুকু ভালো ভাবে কাটাতে পারতাম।অন্তত থাকার ঘরটিই বসবাসের উপযোগী হলে শান্তিতে ঘুম দিতে পারতো খেয়ে না খেয়ে। শীতের তীব্রতা আর গ্রীষ্মের প্রখরতা এবং বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে বাধ্য হয়েই কোন রকম দিনাতিপাত করছে এ দম্পতি। সবজি বিক্রি করে যে টাকা আয় করে তা দিয়ে দুবেলা দুমুঠো খেতেই কষ্ট হয়। যার ফলে ঘরও উত্তোলন করতে পারেন না।সরেজমিনে দেখা যায়, ‘সভ্যতার এ যুগে মানুষ এমন ঘরে থাকাটা বিরল। বলতে গেলে একদম জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থায় কয়েকটি বাঁশের সঙ্গে কাঠ ও উপরে চটের ছাউনি আর  মরিচাধরা টিনের বেড়া দিয়ে ছোট্ট ঘড়টিতে থাকছেন তারা। ঘরের ভিতরে ঢুকলেই দেখা যায় বসবাস করার অনুপযোগী।


আরও পড়ুন: ফাইল আটকে রাখার অভিযোগ বরদাস্ত করা হবে না: দীপু মনি


মানুষের পাড়ায় এ যেন অমানবিক চিত্র। এমন মানবেতর জীবনযাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে আকাব্বার আলীর স্ত্রী নিলুফি বলেন, আমার স্বামী বৃদ্ধ হয়ে গেছে অন্যের সাথে কাজ করতে পারে না। রাস্তার পাশে সবজি চাষ করে যা পায় তা দিয়েই কোন মতে সংসার চালাই। আমাদের থাকার মত ঘর নাই বৃষ্টি হলে খুব কষ্ট করি। যদি আমাদেরকে সরকার একটা ঘর দিত তাহলে খুব ভালো হতো।


আরএক্স/