যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন
বিজ্ঞাপন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের দায়িত্ব বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
বিজ্ঞাপন
আন্দোলনকারী ছাড়াও নাহিদ ইসলামের রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে। তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় নেতা। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে বেরিয়ে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয়েছিল গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি।
বিজ্ঞাপন
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর অন্যতম সমন্বয়ক তিনি। নাহিদ ইসলামের ডাকনাম ‘ফাহিম’। সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। জন্ম ১৯৯৮ সালে ঢাকায়। বাবা শিক্ষক। মা ঘর সামলে সন্তানদের মানুষ করেছেন। ছোট এক ভাই রয়েছে তার। নাহিদ ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত।
বিজ্ঞাপন
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে তাকে দুবার আটক করা হয়। প্রথমবার, ১৯ জুলাই সাদা পোশাকধারী কয়েকজন তার এক বন্ধুর বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। চোখে কাপড় বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে অমানসিক নির্যাতন চালানো হয় তার ওপর। দুদিন পর পূর্বাচলে একটি ব্রিজের নিচে নিজেকে আবিষ্কার করেন নাহিদ। দ্বিতীয়বার, ২৬ জুলাই ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তাকে ডিবিতে নেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্র্বতী সরকার গঠন করা হয়। রাত ৯টা ২১ মিনিটে বঙ্গভবনে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের ১৪ জন সদস্য। তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় শপথ অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি নতুন দায়িত্ব পাওয়া তিন উপদেষ্টা।
বিজ্ঞাপন
তারা হলেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা, চিকিৎসক বিধান রঞ্জন রায় ও নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক-ই-আজম।
বিজ্ঞাপন
এমএল/








