‘রেজিস্ট্যান্স উইক’

৪ দফা দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:০৬ অপরাহ্ন, ১৪ই আগস্ট ২০২৪


৪ দফা দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছবি: প্রতিনিধি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।


 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রঘোষিত সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ এর অংশ হিসেবে বুধবার (১৪ আগস্ট) এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।


আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস পরিষ্কার অভিযান


পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের ‘আমার ভাই কবরে, হাসিনা কেন বাহিরে, ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’ সহ দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।


শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, শেখ হাসিনা এবং তাঁর দল ও সরকার‍ যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, সংখ্যালঘুদের পরিকল্পিত হত্যা-ডাকাতি-লুণ্ঠনের’ মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া, প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যাঁরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে হামলা-মামলা-হত্যাযজ্ঞ বৈধতা দিয়েছেন তাঁদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনা, প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যাঁরা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাঁদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।


আরও পড়ুন: ইবির কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হলে সহকারী প্রক্টরদের সাথে যোগাযোগের নির্দেশ


সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করতে একটা গোষ্ঠী উঠেপড়ে লেগেছে। যারাই বিভেদ সৃষ্টি করতে আসবে আমরা তাদের কালো হাত ভেঙে দেব। কেউ যদি ষড়যন্ত্রের সাহসও করে, তার সাহস আমরা কেড়ে নেব।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি। ২৪ এর পরাজিত শক্তি দেশে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রজনতা এই কুচক্রী মহলের নাম পরিচয় মুছে দিতে বদ্ধ পরিকর। ইতোমধ্যে ১৫ আগস্টের ছুটি বাতিল হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তা যদি সেদিন কোনো অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।


এসডি/