গুলিবিদ্ধ রাব্বিকে আর্থিক সহায়তা দিল ঢাকা কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগ


Janobani

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:১৬ অপরাহ্ন, ১৬ই আগস্ট ২০২৪


গুলিবিদ্ধ রাব্বিকে আর্থিক সহায়তা দিল ঢাকা কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগ
ছবি: প্রতিনিধি

ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ঢাকা কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের (২০১৮-১৯) সেশনের শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বিকে নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দ।


শুক্রবার (১৬ আগস্ট) আজিমপুর কলোনিতে রাব্বিকে দেখতে গিয়ে আর্থিকভাবে সহায়তা করেন তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহসেন উদ্দিন ফিরোজ, সহকারী অধ্যাপক ও শিক্ষার্থীরা।


আরও পড়ুন: অবশেষে পদত্যাগ করলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই রাজপথে ছিলেন রাব্বি। গত ১৯ জুলাই রামপুরায় আন্দোলন বন্ধ করতে পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর গুলি করলে একটি বুলেট রাব্বির ডান পায়ে এসে লাগে। সেখান থেকে বন্ধুরা হাসপাতালে নিয়ে যান তাকে। রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত কমফোর্ড হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এই শিক্ষার্থী। এখন পর্যন্ত ১ লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে তার। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে আরও অনেক টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।


রাব্বিকে দেখতে গিয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহসেন উদ্দিন ফিরোজ বলেন, তুমি আজ নিজের জায়গা-জমির জন্য জীবন দেউনি। যা করেছো রাষ্ট্রের জন্য। তোমার সঙ্গে আমরা শিক্ষক পরিবার রয়েছি, রাষ্ট্র থেকেও চিকিৎসার জন্য ঘোষনা দিয়েছে। তোমার এই আত্মত্যাগ সবাই মনে রাখবে। গর্বের সঙ্গে বেঁচে থাকবে তুমি।


তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে পুলিশরা শিক্ষার্থীদের উপর এতো অত্যাচার চালিয়েছে যে, শিক্ষার্থীরা তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। পুলিশের এমন আচরণ যা দেখে বোঝা যায় ক্যান্সারের জার্ম বহন করছে। এই ধরনের পুলিশদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নতুন শিক্ষার্থীদের নেওয়া উচিত।


আরও পড়ুন: ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ-প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি


রাব্বির বাবা মো. হাফিজুর রহমান, ৫৭ বছর বয়স তার, ভুগছেন নানা রোগে। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী থেকে এসেছিলেন ঢাকায় চিকিৎসা নিতে। ঠিক দুইদিন পরই ছেলের পায়ে গুলি লাগে। এখন নিজের চিকিৎসার কথা ভুলে ছোটাছুটি করছেন চারিদিকে।


হাফিজুর রহমান বলেন, রাব্বি আমার একমাত্র সন্তান। আমিও অসুস্থ, চিকিৎসা নিতে এসেছিলাম ঢাকায়। এখন ছেলের এই অবস্থা। আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর কেউ নেই। তার কাছেই দোয়া করি আল্লাহ যেন আমার সন্তানকে দ্রুত সুস্থ করে দেয়।


এসডি/