হেফাজতের সমাবেশে নির্বিচারে গুলি
শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের নামে হত্যা মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৫ অপরাহ্ন, ১৮ই আগস্ট ২০২৪
২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে ৩৫ শত লোককে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট জাকী-আল ফারাবীর আদালতে এ মামলার আবেদন করেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টি-বিপিপি এর চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ওসি মতিঝিল থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৭/৩৬৫/৩৬৬/৩০৭/৩২৬/৩০২/৩৪ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, সাবেক সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবুল আলম হানিফ, সাবেক আইজিপি হাসান মাহাবুব খন্দকার, র্যাবের সাবেক প্রধান এ কে এম শহিদুল হক, মতিঝিল বিভাগের সাবেক ডিসি বিপ্লব কুমার সরদার, মতিঝিল থানার সাবেক ওসি ওমর ফারুক, সাবেক ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনসুর আহমেদ, ততকালীন মতিঝিল থানার ছাত্রলীগ সভাপতি মাহাবুবুল হক হিরন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর কবির নানক, ইমরান, আওয়ামী লীগ নেত্রী মমতাজ পারভিন, সাবেক মতিঝিল থানার ওসি ফরমান আলী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সালু, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক ডিসি মতিঝিল নাজমুল আলম, হামদাদ গ্রুপের অবসরপ্রাপ্ত ডাইরেক্টর মেজর ইকবাল, আশরাফুজ্জামান, এনএসআই এর সাবেক প্রধান জিয়াউল হাসান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন,আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় ব্লকাররা ধর্মীয় অবমাননা ও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে কুটুক্তি করা এবং বাজে মন্তব্য লেখালেখি করার প্রতিবাদে হেফাজত ইসলাম ১৩ দফা দাবি সরকারের নিকট দেয়। সরকার দাবী না মানার কারনে ২০১৩ সালে ৫ মে শাপলা চত্বরে মতিঝিলে দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় অবস্থান নেয়।এসময় আসামিদের জোগ সাজোশে রাত ১১ টার দিকে হতে পরের দিন বেলা ১১ টা পর্যন্ত সময় রাস্তা ও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দিয়া শেখ হাসিনার মদদে অন্যান্য আসামিগণের যোগসাজসে এজাহারে বর্ণিত পুলিশ ও আর্মি সদস্যরা মিলিয়া নিরহ মাদ্রাসার ছাত্র ও পথচারী লোকদের কে গণহত্যা চালায়। হত্যা করিয়া সরকারি সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি আনিয়া লাশগুলো অজ্ঞাত স্থানে গুম করিয়া ফেলে।
মামলার অভিযোগে বাদী আরো উল্লেখ করেন,এসময় বহু মাদ্রাসার ছাত্র হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল। ভিকটিমদের গার্ডিয়ানরা বহু খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সংশ্লিষ্ট থানাতে মামলা ও জিডি করার জন্য গেলে থানা কর্তৃপক্ষ কোন মামলা নেয় নাই। একজন গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বসম্পন্ন রাজনীতিবিদ নিরীহ প্রায় ৩০০০-৩৫০০ জন মানুষদেরকে নির্বিচার গণহত্যার কারণে একটা মামলা করার প্রয়োজন মনে করিয়া আদালতে উক্ত মামলাটি আনায়ন করেছেন।