শেখ হাসিনা বেঁচে থাকুক, এটাই তার শাস্তি: শফিক রেহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৯ অপরাহ্ন, ১৮ই আগস্ট ২০২৪
নির্বাসিত প্রবাসজীবন কাটিয়ে কাটিয়ে ৬ বছর পর দেশে ফেরা সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেছেন, তিনি চান শেখ হাসিনা বেঁচে থাকুক। বেঁচে থাকাকেই তাঁর শাস্তি বলে মনে করেন তিনি।
রবিবার (১৮ আগস্ট) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর এই মন্তব্য করেন শফিক রেহমান।
আরও পড়ুন: আমাকে স্যার বলার দরকার নেই: তথ্য উপদেষ্টা
এর আগে রবিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে লন্ডন থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শফিক রেহমান।
শফিক রেহমানকে বিমানবন্দরে করতালি ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিক নেতা এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা। শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমানও সঙ্গে ছিলেন।
বিমানবন্দরে শফিক রেহমান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, “দেশে ফিরে শেখ হাসিনাকে খুব অনুভব করছি। আমি তার মৃত্যুদণ্ড চাই না। মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে। এবারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে।”
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার আসামি করা হয় শফিক রেহমানকে। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ এপ্রিল এ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে দেশ ছাড়েন শফিক রেহমান।
সংবাদমাধ্যম যায়যায়দিনের সাবেক এই সম্পাদক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সম্পর্কে বলেন, “তিনি (শেখ হাসিনা) এবং তার পিতা দুজনেই পালিয়ে গেছেন। আমি তাদের উপাধি দিয়েছি। একজন হচ্ছেন বীর পলাতক শ্রেষ্ঠ, আরেকজন হচ্ছেন বীর পলাতক উত্তম।”
আরও পড়ুন: পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম সচিব হলেন ২০১ কর্মকর্তা
তিনি আরও বলেন, “আমি মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে। আমি কারও প্রাণহানি চাই না। কোনো সহিংসতা নয়, সবাইকে ভালবাসুন। এটা বিপ্লবী সরকার, এখানে এখন বিপ্লবী আইন চলছে। সে আইনে দুই মাসের ভিতরে বিচার করতে হবে। কিউবার ইতিহাস আপনারা পড়েন, তাহলে জানতে পারবেন।”
নতুন সরকারের কাছে চাওয়া প্রসঙ্গে শফিক রেহমান বলেন, “সবার চাকরি হতে হবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।”
জেবি/এসবি