বন্যায় ১২ জেলায় ক্ষতি ২ লাখ ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৭ অপরাহ্ন, ২২শে আগস্ট ২০২৪
ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ দেশের ১২টি জেলায় গত সাত দিনে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে মোট ২ লাখ ২০ হাজার ৮৮৩ হেক্টর কৃষি জমির ফসল।
মুহুরী, কহুয়া, সিলোনিয়া ও গোমতী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের স্থল দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করতে থাকায় একের পর এক জনপদ প্লাবিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতে বাঁধ ভেঙে পড়ায় তিস্তাপাড়ের মানুষের মাঝে বন্যা আতঙ্ক
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবর (১৬ আগস্ট) থেকে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) পর্যন্ত অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ মুন্সিগঞ্জ ২৩০.৭ হেক্টর, সিলেট ৩ হাজার ৩৮৯ হেক্টর, মৌলভীবাজার ৪৩ হাজার ২৭১ হেক্টর, হবিগঞ্জ ৬ হাজার ৮৯৪ হেক্টর, চট্টগ্রাম ১২ হাজার ০৮৯ হেক্টর, কক্সবাজার ৪ হাজার ২৮৯ হেক্টর, নোয়াখালী ৩৬ হাজার ৭৪৫ হেক্টর, ফেনী ৩১ হাজার ৫৪৫ হেক্টর, লক্ষ্মীপুর ৯ হাজার ৪৭৮ হেক্টর, কুমিল্লা ৬৫ হাজার ১৩৫ হেক্টর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬ হাজার ৪১৪ হেক্টর এবং চাঁদপুর ১০ হাজার ৯২২ হেক্টর কৃষি জমি প্লাবিত হয়েছে।
গত সাত দিনে ১২ জেলায় ফসলের ক্ষতির পরিমাণ আউশ ৬৮ হাজার ২০৯ হেক্টর, আমন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৯ হেক্টর, বোনা আমন ৫৭০ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ১২ হাজার ৯১০ হেক্টর, শাকসবজি ৯ হাজার ৫১৯ হেক্টর, আখ ৩৮৪ হেক্টর এবং পান ১৯১ হেক্টর।
বন্যা পরবর্তীতে উঁচু এলাকায় আপদকালীন নাবী জাতের রোপা আমন বীজতলা তৈরি, ভাসমান বীজতলা তৈরি, স্থানীয় জাতের পরিবর্তে উফশী জাত আবাদ, স্বল্প মেয়াদী রোপা আমন ধান যেমন ব্রি ধান-৫৬, ৫৭, ৭৫, ৮৭ আবাদ, বন্যা সহনশীল জাত ব্রিধান-৫১, ৫২, ৭৯ জাতের আবাদ বৃদ্ধির জন্য পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল
একই সাথে ভাসমান বেডে শাক সবজি আবাদের ব্যবস্থা করা, বস্তায় লতা জাতীয় ও মশলা যেমন মরিচ ও আদা চাষ। নাবী জাতের রোপা আমন, বিআর-২২,২৩ এবং স্থানীয় গাইঞ্জা, আবছায়া চাষে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান, ডাবল ট্রান্সপ্লান্টিং পদ্ধতিতে রোপা আমন চাষ বৃদ্ধি ও ধানের অঙ্কুরিত বীজ সরাসরি বপন করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি মন্ত্রাণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বন্যা কবলিত এলাকার কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল সরকারি কর্মকর্তাগণের ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে অবস্থান করে সেবা প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি প্রয়োজনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে কৃষি বিষয়ক পরামর্শ নিতে বলেছেন।
এমএল/