বাংলাদেশ বিরোধীদের সরকার হবে বিএনপির জাতীয় সরকার: কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
‘বিএনপির জাতীয় সরকার হবে-রাজাকার, আলবদর, জামায়াতসহ বাংলাদেশ বিরোধী ও বাংলাদেশের শত্রুদের সরকার’ মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের বৃহত্তম, সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দল। এ দলটির নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে এবং ৫০-৬০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। এই আওয়ামী লীগকে বাদ নিয়ে জাতীয় সরকার করবে বিএনপি, সেটি কী জাতীয় সরকার হবে? এটি হবে রাজাকার, আলবদর, বিএনপি, জামায়াতসহ বাংলাদেশবিরোধী ও বাংলাদেশের শত্রুদের সরকার।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আপনাদেরকে এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, দূরে ঠেলে দিয়েছে। জাতীয় সরকার, রাজাকার-আলবদরের সরকার, বিএনপি-জামায়াতের সরকার বাংলাদেশে হবে না। জনগণের ভোটে যারা সংসদে বেশি আসন পাবে, তারাই দেশে সরকার গঠন করবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পৃথিবীর কোন দেশে জাতীয় সরকার হয় না। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ জরুরি পরিস্থিতিতে এটি গঠিত হয়। কাজেই বাংলাদেশে কোনদিন জাতীয় সরকার হবে না।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, জঙ্গি সৃষ্টি করেছিল,অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছিল, মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। এছাড়া, গত ১৬ বছর ধরে তারা ক্ষমতার বাইরে। সবমিলিয়ে বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই ও একদম জনবিচ্ছিন্ন। সেজন্য, বিএনপি নির্বাচন মানে না, নির্বাচনে আসে না। বার বার শুধু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এদেশে আর কোনদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান আমাদের সংবিধানে নেই, পৃথিবীর কোন সংবিধানেও নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে ।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার, উদ্বোধক হিসেবে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি এবং বিশেষ বক্তা হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর এনায়েত হোসেন ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ।
এসএ/